শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৯, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ১৫:৫৩, ৩ জানুয়ারি ২০২৫
বছরের শুরু থেকেই রাজধানীসহ সারাদেশে জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে ঠান্ডা বাতাস। সেই সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে বৃষ্টির মতো ঝিরিঝিরি কুয়াশা। হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে দেশ। বিপর্যস্ত জনজীবন।
আজ শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভোর থেকেই রাজধানী ঢেকে গেছে ঘন কুয়াশায়। আর কুয়াশার প্রভাবে ব্যাহত হচ্ছে যানবাহন চলাচল। দুপুর ১২টায়ও সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি। বরাবরের মতোই শীতে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় পড়েছে ভবঘুরে ও শ্রমজীবীরা।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে পঞ্চগড়ে, ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল চুয়াডাঙ্গায়, ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিদ্যমান আবহাওয়া আরও কিছুদিন অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুকের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী রবিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। তবে ঘন কুয়াশার কারণে সারাদেশের কোথাও কোথাও তীব্র শীত অনুভূত হতে পারে।
আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা মিলছে না। তাতে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। আগামী কয়েক দিন এমন পরিস্থিতি বহাল থাকতে পারে। বিরতি দিয়ে জানুয়ারির মধ্যভাগ থেকে আসতে পারে শৈত্যপ্রবাহ। তীব্র ঠান্ডায় শিশু ও বৃদ্ধদের বাড়তি যত্ন নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এরইমধ্যে দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে প্রতিদিনই নামছে তাপমাত্রার পারদ। দিনের বেলায়ও আলো জ্বালিয়ে চলছে যানবাহনগুলো। হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। শীতে কাবু হয়ে পড়েছে শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ।
সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে খেটেখাওয়া আর ছিন্নমূল মানুষ। রিকশাচালক, দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষের ভোগান্তির মাত্রা বেশি। তীব্র ঠান্ডা উপেক্ষা করে ভোরেই কাজ নেমেছেন তারা। ঘন কুয়াশা আর হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় জনজীবনে নেমে এসেছে চরম ভোগান্তি।