শিরোনাম
রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫:১৬, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ১৮:০৫, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
কোল্ড স্টোরেজে ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে মহাসড়কে আলু ফেলে প্রতিবাদ করেছেন রাজশাহী জেলার আলু চাষীরা। এসময় দাম কমিয়ে পূর্বের মূল্য রাখার জন্য ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে কৃষকরা। কোল্ড স্টোরেজের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে রোববার সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলার সামনের মহাসড়কে আলু ফেলে তারা প্রতিবাদ করেন। এসময় অনেক কৃষককে আহাজারি করতেও দেখা গেছে।
এর আগে কৃষকরা বেলা ১১ টা থেকে মোহনপুর উপজেলা চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে শুরু করেন। কৃষকরা জানান, এবছর আলু চাষ করতে গিয়ে কয়েকগুণ উৎপাদন খরচ পড়েছে। বীজ, সার, কীটনাশকসহ অন্যান্য উপাদানের দাম গতবছরের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়েছে। এখন আবার কোল্ড স্টোরেজে আলু রাখার ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে।
কৃষকরা জানান, গতবছর কোল্ড স্টোরেজে ৭০ কেজির আলুর বস্তা রাখার ভাড়া বাবদ ২৮০ টাকা খরচ করতে হয়েছে কৃষকদের। এ বছর তাদের একই পরিমাণ আলু রাখার জন্য খরচ দিতে হবে ৫৬০ টাকা।
মোহনপুর মৌগাছি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলু চাষী ইউনুস আলী বলেন, ‘আমি ১৮০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। কেজিপ্রতি খরচ হয়েছে ২২ টাকা। এখন পাইকারি আলু কেজিপ্রতি ১৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এমনিতেই কৃষকদের লোকসান হচ্ছে। সেখানে কোল্ড স্টোরেজ মালিকদের আলু রাখার ভাড়া বৃদ্ধি অযৌক্তিক ও অনৈতিক। এটা কৃষকরা মেনে নিবে না।’
কোল্ড স্টোরেজ মালিকদের টার্গেট হচ্ছে কৃষকরা আলু না রাখতে পারার কারণে দাম কমে গেলে তখন তারা কম দামে আলু কিনে কোল্ড স্টোরেজে রাখবে এবং পরে কৃষকদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করবে। এটা কখনো হতে দেওয়া হবে না।
রাজশাহীতে ৩৬টি কোল্ড স্টোরেজে আলু রাখা যায় ৯২ লাখ বস্তা। অর্থাৎ এক বস্তা আলু থেকে ২৮০ টাকা লাভ করলে তারা কৃষকদের কাছ থেকে এই মৌসুমে ২৫৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নিবে। কোল্ড স্টোরেজ মালিকদের এই সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অনেকেই।