ঢাকা, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

২৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ১২ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম

Scroll
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে ঢামেকের বহির্বিভাগে চিকিৎসা বন্ধ
Scroll
এমবিবিএস-বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া নামের আগে ডাক্তার পদবি নয়: হাইকোর্ট
Scroll
এপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী মারা গেছেন
Scroll
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী একটি ট্রেনে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের হাতে জিম্মি হওয়া ৮০ জনকে উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা, নিহত হয়েছেন ১৩ জন
Scroll
দুর্বল রাষ্ট্রায়ত্ত আর্থিক ও অ-আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ, একীভূতকরণ কিংবা বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার বিধান রেখে নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়
Scroll
সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন বৈঠকে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি ইউক্রেন
Scroll
গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক লাকি আক্তারকে ফ্যাসিবাদী আখ্যা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মধ্যরাতে শাহবাগে ঢাবি শিক্ষার্থীরা

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গারদে পাচ্ছে বিশেষ সুবিধা

মাদারীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০:৫৮, ১০ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ১৫:১৮, ১১ মার্চ ২০২৫

ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গারদে পাচ্ছে বিশেষ সুবিধা

মাদারীপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত তাওহিদ সন্নামাত হত্যা মামলার আসামী আওয়ামীলীগ নেতা মনিরুজ্জামান আক্তার হাওলাদার। অভিযোগ উঠেছে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. আনিসুর রহমান আসামীকে পুলিশ হেফাজতে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছেন।

সোমবার দুপুরে মাদারীপুর সাংবাদিক কল্যাণ সমিতি অফিসে সংবাদ সম্মেলনে করে এই অভিযোগ করেন জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব কামরুল হাসান। অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘মাদারীপুর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত তাওহিদ সন্নামাত হত্যা মামলার আসামী মনিরুজ্জামান আক্তার হাওলাদারকে কোর্ট পুলিশের গারদে থাকা অবস্থায় মোবাইল ব্যবহার করতে দিয়েছেন এবং দলীয় কর্মীদের সাথে মিটিং করার সুযোগ দিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক মো. আনিসুর রহমান।’ অভিযোগ করা হয়েছে, সেই মোবাইল থেকে মাদারীপুর জেলা ক্রিকেটদলের অধিনায়ক রুবেল হাওলাদারকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে কামরুল জানান, মাদারীপুর জেলা ক্রিকেটদলের অধিনায়ক রুবেল হাওলাদার তাঁর ফুফাতো ভাই। ৯ মার্চ গারদে থাকাবস্থায় তাওহিদ হত্যা মামলার আসামী আক্তার হাওলাদার মুঠোফোনে রুবেল হাওলাদারকে মেরা ফেলার হুমকি দিয়েছে। গারদে থাকা আসামি  কিভাবে ফোন করে মেরে ফেলার হুমকি দিতে পারে? সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিএনপির এই জেলা ছাত্রদলের এই সদস্য সচিব।

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কামরুল বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা সদর থানায় একটি জিডি করতে গেলে ওসি জিডি নেননি। পরে পুলিশ সুপার এবং ওসি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আক্তার হত্যা মামলায় জেলখানায় থাকা আসামী। কোর্টে হাজিরা দেয়ার সময় পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় সে দলীয় কর্মীদের সাথে কিভাবে মিটিং করেন? তাকে কেন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেয়া হলো? আমি কোর্ট ওসি আনিসুর রহমানের বিচার চাই। কর্তৃপক্ষ যদি তার বিচার না করে তাহলে আগামীতে ছাত্র সমাজ নিয়ে তার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন করবো।’

সংবাদসম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রুবেল হাওলাদার, স্থানীয় সাকিল মুন্সি, আলী হোসন,হাসান মুন্সিসহ অনেকেই।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাদারীপুর জজ কোর্টের পরিদর্শক আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, ‘মোবাইল ব্যবহার করতে দেয়া এবং নেতা কর্মীরা মিটিং করছে কিনা আমার জানা নেই।’ মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা বলেন, ‘অভিযোগ পেলে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন