শিরোনাম
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১:৩৭, ১১ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ১৫:১৪, ১১ মার্চ ২০২৫
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম
২০২৩ সালের ঘটনা। কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সাহেদল ইউনিয়নের বাসুর চর গ্রামে ১১ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর তা ধামাচাপা দিতে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় ভুক্তভোগীসহ পরিবারের সবাইকে।
নিহতদের স্বজনরা জানায়, পুলিশ মামলার অভিযোগপত্র জমা দিলেও আসামি চার মাস আগে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় ফেরে। এতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, সৌদি প্রবাসী মঞ্জিল মিয়ার স্ত্রী তাছলিমা আক্তার (৩৫), দুই মেয়ে মোহনা আক্তার (১১) ও বন্যা আক্তারকে (৭) নিয়ে বাড়িতে থাকতেন। ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর সকালে তাদের লাশ পাওয়া যায় দুটি বিছানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, তৎকালীন হোসেনপুর থানার ওসি আসাদুজ্জামান টিটু জানান, আসামি জাহাঙ্গীরের শরীরে অনেকগুলো নখের আঁচড় পাওয়া যায়। সিআইডির সহায়তায় নিহত তিনজনের নখের নমুনা ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয় এবং জাহাঙ্গীরের আঁচড়ের নমুনাও আলামত হিসেবে সংগ্রহ করা হয়। ফরেনসিক রিপোর্টে নিহতদের নখে জাহাঙ্গীরের ডিএনএ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
এই মামলার বাদী কবিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বোন আর ভাগনির হত্যাকারী জাহাঙ্গীর হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছে। সে প্রায়ই আমার সামনে এসে ঘোরাঘুরি করে, আর আমি তখন ভয় পেয়ে সরে যাই। যদি আমাকে কোনো ক্ষতি করে ফেলে! ও আমাকে প্রায়ই হুমকি দেয়, লোকজন দিয়ে নানা প্রলোভন দেখায়। আমি শুধু আমার বোন আর ভাগনির হত্যার ন্যায্য বিচার চাই।’