ঢাকা, সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫

২৩ চৈত্র ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম

Scroll
ঈদের মাসে রেকর্ড ৩২৯ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা
Scroll
বাংলাদেশে ব্যবসা করার অনুমোদন পেল স্টারলিংক
Scroll
আওয়ামী লীগ সমর্থক ৭০ জন আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ
Scroll
আইএমএফের সঙ্গে বৈঠক, ভ্যাট সিঙ্গেল রেটে একবারে আনা সম্ভব নয়: অর্থ উপদেষ্টা
Scroll
পাল্টা শুল্ক: যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টায় দুটি চিঠি দেবে সরকার
Scroll
মারা গেছেন আরাফাত রহমান কোকোর শাশুড়ি মুকরেমা রেজা
Scroll
কানাডার ৪৫তম ফেডারেল নির্বাচনে লড়বেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ডা. নুরুল্লাহ তরুন
Scroll
সরকারি সফরে রাশিয়া গেলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান
Scroll
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ধনকুবের ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে জোরালো বিক্ষোভ
Scroll
৯ দিনের টানা ছুটি শেষে অফিস-আদালত খুলছে আজ

নোয়াখালীগামী বাসে ইট নিক্ষেপ, ৪০ কিলোমিটার ধাওয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:৩৯, ৫ এপ্রিল ২০২৫

নোয়াখালীগামী বাসে ইট নিক্ষেপ, ৪০ কিলোমিটার ধাওয়া

ঢাকা থেকে ৩৮ জন যাত্রী নিয়ে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল ‘একুশে পরিবহনের’ একটি যাত্রীবাহী বাস। কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা পার হওয়ার পর বাসটিকে অনুসরণ করা শুরু করে একদল মোটরসাইকেল আরোহী। প্রায় ৮ থেকে ১০টি মোটরসাইকেল নিয়ে টানা ৪০ কিলোমিটার পথ বাসটিকে ধাওয়া করেন তারা। একপর্যায়ে বাস না থামানোয় চালককে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। এতে গুরুতর আহত হন চালক মো. সোহেল। 

ঘটনাটি ঘটে সোমবার (১ এপ্রিল) মধ্যরাতে। বর্তমানে সোহেল নোয়াখালীর মাইজদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর চোয়াল থেঁতলে গেছে, মাথা ও মুখে লেগেছে ৩১টি সেলাই, ভেঙে গেছে নিচের পাটির দুটি দাঁত।

বাসটির সহকারী মোহাম্মদ রাহাত জানান, কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট পার হতেই মোটরসাইকেল আরোহীরা বাসটির পিছু নেয়। পরে সোনাইমুড়ীর ছাতারপাইয়া এলাকায় ও বেগমগঞ্জে আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজের সামনে চালককে লক্ষ্য করে দুই দফায় ইট ছোড়া হয়। ইটের আঘাতে রক্তাক্ত হলেও চালক বাস থামাননি। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বাসটি চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সরাসরি নোয়াখালী সুধারাম থানার সামনে বাস থামালে সব যাত্রী দ্রুত থানায় ঢুকে পড়েন। 

চালক সোহেলের ভাই মেহেদী হাসান জানান, ভাইয়ের চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৯০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাসমালিক মালিক দিয়েছেন ৬০ হাজার টাকা। বাকি খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছে তাদের পরিবার। 

এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। বাসের মালিক মো. জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পরে সুধারাম মডেল থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি করতে চান। কিন্তু সুধারাম মডেল থানা থেকে সোনাইমুড়ী থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। সোনাইমুড়ী থানা থেকে আবার লাকসাম থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

তবে, এটি ডাকাতির ঘটনা নয় বলে ধারণা হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. খায়রুল আলমের। তিনি বলেন, ‘ডাকাতির উদ্দেশ্যে হলে এক বাসকে এত দূর ধাওয়া করার যুক্তি নেই। রুটটিতে গত পাঁচ বছরে ডাকাতির কোনো নজিরও নেই।’

তিনি আরও জানান, সাইড না দেওয়া বা কোনো ব্যক্তিগত বিরোধ থেকেই এমন হামলা হয়ে থাকতে পারে। তদন্তে সহায়তার জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সড়কের সিসিটিভি ফুটেজও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।  
 

আরও পড়ুন