শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩৯, ৫ এপ্রিল ২০২৫
ঘটনাটি ঘটে সোমবার (১ এপ্রিল) মধ্যরাতে। বর্তমানে সোহেল নোয়াখালীর মাইজদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর চোয়াল থেঁতলে গেছে, মাথা ও মুখে লেগেছে ৩১টি সেলাই, ভেঙে গেছে নিচের পাটির দুটি দাঁত।
বাসটির সহকারী মোহাম্মদ রাহাত জানান, কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট পার হতেই মোটরসাইকেল আরোহীরা বাসটির পিছু নেয়। পরে সোনাইমুড়ীর ছাতারপাইয়া এলাকায় ও বেগমগঞ্জে আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজের সামনে চালককে লক্ষ্য করে দুই দফায় ইট ছোড়া হয়। ইটের আঘাতে রক্তাক্ত হলেও চালক বাস থামাননি। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বাসটি চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সরাসরি নোয়াখালী সুধারাম থানার সামনে বাস থামালে সব যাত্রী দ্রুত থানায় ঢুকে পড়েন।
চালক সোহেলের ভাই মেহেদী হাসান জানান, ভাইয়ের চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৯০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাসমালিক মালিক দিয়েছেন ৬০ হাজার টাকা। বাকি খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছে তাদের পরিবার।
এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। বাসের মালিক মো. জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পরে সুধারাম মডেল থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি করতে চান। কিন্তু সুধারাম মডেল থানা থেকে সোনাইমুড়ী থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। সোনাইমুড়ী থানা থেকে আবার লাকসাম থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে, এটি ডাকাতির ঘটনা নয় বলে ধারণা হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. খায়রুল আলমের। তিনি বলেন, ‘ডাকাতির উদ্দেশ্যে হলে এক বাসকে এত দূর ধাওয়া করার যুক্তি নেই। রুটটিতে গত পাঁচ বছরে ডাকাতির কোনো নজিরও নেই।’
তিনি আরও জানান, সাইড না দেওয়া বা কোনো ব্যক্তিগত বিরোধ থেকেই এমন হামলা হয়ে থাকতে পারে। তদন্তে সহায়তার জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সড়কের সিসিটিভি ফুটেজও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।