ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

৫ বৈশাখ ১৪৩২, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৬

‘ক্ষমতার দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছি, এমনটা ভাবা যাবে না’

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮:২৬, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৮:৫১, ১০ এপ্রিল ২০২৫

‘ক্ষমতার দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছি, এমনটা  ভাবা যাবে না’

বিএনপি ক্ষমতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে, এমন ভাবনা থেকে বিরত থাকতে দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করেছেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও মৌলভীবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম ময়ূন।

বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। 

ফয়জুল করিম ময়ূন বলেন, ‘আমরা যেন কোনো অবস্থাতেই মনে না করি যে, আমরা ক্ষমতার ধারপ্রান্তে চলে এসেছি বা খুব শিগগির ক্ষমতায় যাচ্ছি। এমন ভাবনা মাথায় আনা যাবে না। সামনে কঠিন সময় আসছে, তাই সবাইকে সতর্ক ও সংযত থাকতে হবে।’  

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মধ্যে মতভেদ থাকতে পারে, কিন্তু দলে কোনো বৈষম্য থাকবে না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বিগত ১৫/১৬ বছর ধরে আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম করে এসেছি। মামলা, হামলা, নির্যাতন, নিপীড়ন মোকাবিলা করেই আমাদের রাজনীতি করতে হবে।’

আয়োজনটি সার্বিকভাবে পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, সাবেক পৌর মেয়র ও শিল্পপতি মহসিন মিয়া মধু। তার ভূমিকাকে প্রশংসা করে ময়ূন বলেন, ‘এই ঈদ পুনর্মিলনী একটি ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন। মহসিন মিয়া যেভাবে মন উজার করে সবার জন্য আয়োজন করেছেন, তাতে প্রমাণ হয় তিনি একজন জনপ্রিয় ও কর্মীপ্রিয় নেতা। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে হাজারো নেতাকর্মীর উপস্থিতি সেটিই প্রমাণ করে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জ্বল। তিনি বলেন, ‘ঈদের পর এত বড় একটি মিলনমেলায় সবাইকে একসঙ্গে দেখে খুব ভালো লাগছে। এ আয়োজন প্রমাণ করে, শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জের মাটি মধু ভাইয়ের ঘাঁটি। আজকের এই অনুষ্ঠান আমাদের আগামী দিনের রাজনীতির পথনির্দেশনা হয়ে থাকবে। তাকে নিয়েই আগামীর পরিকল্পনা এবং ভবিষ্যৎ রচনা করতে পারব। এজন্য সবাইকে এক এবং ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে মহসিন মিয়া মধু বলেন, ‘তারেক জিয়ার নির্দেশ মানুষের পাশে থাকতে হবে। আমি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, চোরাকারবারি, অর্থপাচারকারী ও দেশবিরোধীদের বিরুদ্ধে আপনাদের সাথে আছি এবং থাকব। কেউ যদি উশৃঙ্খলতা সৃষ্টি করতে চায়, সেটি মেনে নেওয়া হবে না। গত ৫ আগস্ট থেকে শ্রীমঙ্গলে শান্তির জন্য লড়ছি। জেল-জুলুম, মামলা-হামলার শিকার হয়েছি, কিন্তু উশৃঙ্খলতায় জড়াইনি। যারা আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, তাদের প্রতিহত করতে গেলে শ্রীমঙ্গলবাসীর কষ্ট হতো, সেজন্য আমি তা করিনি।’

‘উস্কানিমূলক প্রচারণায়’ কিছু আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও এক সাংবাদিক যুক্ত হয়েছেন এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘তারা শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে চাচ্ছে, কিন্তু শ্রীমঙ্গলবাসী তা সফল হতে দেবে না।’

অনুষ্ঠান শেষে কয়েক হাজার নেতাকর্মীর জন্য নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। এতে জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন