শিরোনাম
মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১:৩২, ১৩ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১২:১৩, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতে জেলার রাজৈর উপজেলার বেপারিপাড়া মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আহতদের মধ্যে রাজৈর উপজেলার পশ্চিম রাজৈর গ্রামের লাভলুর ছেলে সালাউদ্দিন (১৮), হয়দার আকনের ছেলে সাগর আকন (২৩), মাহবুব মোল্লার ছেলে ওমর মোল্লা (২২), হুমায়ুন খানের ছেলে ইমন খান (২০), হবি শেখের ছেলে সাব্বির শেখ (১৮) এবং রাজৈর থানার পুলিশ সদস্য জুয়েনসহ ১১ জন রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়াও রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদ খান, তদন্ত ওসি সঞ্চয় কুমার ঘোষ ও এসআই তারেকসহ অন্তত ১৫ জন পুলিশ সদস্য ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন। অন্যান্য আহত ব্যক্তিরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, গত ২ এপ্রিল ঈদ পরবর্তী সময়ে রাজৈর উপজেলার পশ্চিম রাজৈর ফুচকা ব্রিজ এলাকায় বদরপাশা গ্রামের আতিয়ার আকনের ছেলে জুনায়েদ আকন ও তার বন্ধুরা বাজি ফাটাচ্ছিল। এ সময় পশ্চিম রাজৈর গ্রামের মোয়াজ্জেম খানের ছেলে জোবায়ের খান ও তার বন্ধুরা তাদের বাধা দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে ৩ এপ্রিল সকালে রাজৈর বেপারিপাড়া মোড়ে জুনায়েদ ও তার লোকজন জোবায়েরকে একা পেয়ে পিটিয়ে ডান পা ভেঙে দেয়।
এ ঘটনায় আহত জোবায়েরের বড় ভাই অনিক খান (৩১) বাদী হয়ে জুনায়েদকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে রাজৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এতে উভয় গ্রামের লোকজন বেশ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতে দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষে ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাজৈর থানার পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় দুই ওসি ও অন্তত ১৫ জন পুলিশ সদস্যসহ ৩০ জন আহত হন।
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদ খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে তিনি ও তদন্ত ওসি সহ অন্তত ১০-১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়াও উভয় গ্রামের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।