ঢাকা, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

৩ বৈশাখ ১৪৩২, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম

Scroll
ঢাকায় পৌঁছেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ
Scroll
ঢাকাসহ সারাদেশে বৃষ্টি, আগামী পাঁচদিন ঝড়-শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা
Scroll
সাবেক এমপি নবী নেওয়াজ ৫ দিনের রিমান্ডে
Scroll
ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই নির্বাচন: আসিফ নজরুল
Scroll
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় সন্তুষ্ট নই, নির্বাচনের কাট অফ সময় ডিসেম্বর: ফখরুল
Scroll
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ আজ ঢাকায় আসছেন
Scroll
ধানমন্ডিতে গাড়ি থেকে চাঁদা আদায় করা যুবককে আটক করেছে পুলিশ
Scroll
গাজায় নিহত আরও ২৩ ফিলিস্তিনি, প্রাণহানি ছাড়াল ৫১ হাজার
Scroll
কুয়েটে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে ছাত্রদল
Scroll
বিএনপির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আজ

স্ত্রী পিটিয়ে জেল হাজতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা

নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০:৩৮, ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ২০:৪০, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

স্ত্রী পিটিয়ে জেল হাজতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা

স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় জামিন না পেয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে অভিযুক্ত স্বামী সোহেল রানাকে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়েরকৃত মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সোহেল রানা নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই কলোনী মিয়াপাড়া এলাকার মৃত আমির উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে ডিমলা উপজেলায় কর্মরত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৩ বছর আগে ভুক্তভোগী হানিফা আক্তার ইতির সঙ্গে সোহেল রানার পারিবারিক প্রস্তাবের মাধ্যমে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ইতির বাবা নগদ অর্থসহ প্রায় ১০ লাখের অধিক টাকার যৌতুক দেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই সোহেল রানা আরও ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করতে থাকেন।

ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যৌতুকের এই অতিরিক্ত দাবি পূরণে অপারগতা প্রকাশ করলে, সোহেল রানা তার স্ত্রীর ওপর শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন। নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকায় ভুক্তভোগী একপর্যায়ে তার স্বামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একাধিক মামলা দায়ের করতে বাধ্য হন।

এ বিষয়ে হানিফা আক্তার ইতি বলেন, আমার স্বামী সোহেল রানা একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হলেও তার আচরণে কোনো মানবিকতা নেই। বিয়ের পর থেকেই সে টাকার জন্য আমাকে নানাভাবে নির্যাতন করেছে। আমি টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় সে আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর থেকে আমি আমার দুই সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করছি। এমনকি সে আমার বাবার বাড়িতে এসেও আমাকে বেধড়ক মারধর করেছে। তাই বাধ্য হয়ে আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।

হানিফা আক্তার ইতি আরও জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক যন্ত্রণা ও সামাজিক অপমান সহ্য করে এসেছেন। তিনি বলেন,‘ স্বামীর চাকরির মর্যাদা আর সমাজের ভয়ে আমি চুপ ছিলাম।’

বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাড. মুজাহিদ ইসলাম শাহ জানান, অভিযুক্ত সোহেল রানার বাদী হানিফা আক্তার ইতিকে বিয়ের পর থেকেই নির্যাতন করে আসছিল। বাদী তার বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন মামলাসহ একাধিক মামলা দায়ের করেছে। 

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন মিন্টু জানান, শুনানিকালে আসামিপক্ষ জামিন আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আবেদন আদালত নাকচ করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন