শিরোনাম
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:৪৪, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
নোটিশপ্রাপ্ত পত্রিকাগুলো হলো শামসুল আলম খান সম্পাদিত দৈনিক আজকের ময়মনসিংহ, এফ এম এ ছালাম সম্পাদিত দৈনিক দেশের খবর, এন বি এম ইব্রাহীম খলিল রহিম সম্পাদিত দৈনিক বিশ্বের মুখপাত্র, মরহুম আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার সম্পাদিত দৈনিক ঈশিকা, নাসির উদ্দিন আহমেদ সম্পাদিত দৈনিক অদম্য বাংলা, আফসার উদ্দিন সম্পাদিত দৈনিক সবুজ, আ ন ম ফারুক সম্পাদিত দৈনিক আলোকিত ময়মনসিংহ ও দৈনিক দিগন্ত বাংলা, শেখ মেহেদী হাসান নাদিম প্রকাশিত দৈনিক জাহান, ওমর ফারুক সম্পাদিত দৈনিক কৃষাণের দেশ, এম এ মতিন সম্পাদিত দৈনিক নিউ টাইমস, ফরিদা ইয়াসমীন রত্না সম্পাদিত হ্রদয়ে বাংলাদেশ ও বিকাশ রায় সম্পাদিত সাপ্তাহিক পরিধি।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা মীরা কর্তৃক কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়েছে, পত্রিকাগুলো ভিন্ন হলেও চলতি বছরের ৩০ মার্চ, ৭, ৮, ৯, ১০, ১২ ও ১৩ এপ্রিল একই সংবাদ, একই শিরোনাম দিয়ে প্রকাশ করে। এসব পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকদের নোটিশ জারির দিন থেকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে একই সংবাদ, একই শিরোনামে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশের কারণ ব্যাখ্যার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
তিনি আরও বলেন, ওইসব পত্রিকাকাগুলোর সম্পাদক ভিন্ন, অফিসের ঠিকানা ভিন্ন ও পত্রিকার কালারও ভিন্ন। অথচ দ্বিতীয় পৃষ্ঠা ও তৃতীয় পৃষ্ঠার পুরো জায়গাজুড়ে বিনোদন, স্বাস্থ্য ও ধর্মসহ সব ধরনের রিপোর্ট হুবহু ছাপানো হয়েছে। সম্পাদকীয় লেখাটাও হুবুহু ছাপানো হয়েছে। এছাড়া ওইসব রিপোর্টগুলোর হেডিংয়ের কালারেও কোনো ধরনের ভিন্নতা নেই। যা ছাপাখানা আইন ও কপিরাইট আইনে কিছু বাধা আছে।
১৩ সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানের ঘটনা সাংবাদিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আলোকিত ময়মনসিংহ পত্রিকার সম্পাদক ও ময়মনসিংহ সংবাদপত্র শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আ ন ম ফারুক জানান, এরকম সম্পাদকদের কারণ দর্শানো প্রদানের মতো ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। তবে সম্পাদকদের ডেকে নিয়ে এ বিষয়ে সতর্ক করে দিলেই সবচেয়ে বেশি ভালো হতো। ভবিষ্যতে যাতে এরকম ঘটনা না ঘটে এ বিষয়ে তারা সতর্ক থাকবেন তিনি।
ময়মনসিংহ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম উজ্জ্বল জানান, ময়মনসিংহে একই ছাপাখানা থেকে ১০-১২টি পত্রিকা ছাপা হয়ে থাকে। একজন রিপোর্টার এসব পত্রিকা নিয়ন্ত্রণ করেন। কোনও নিয়মের তোয়াক্কা করেন না তারা। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন, তথ্য অফিস ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নিয়মিত তদারকি করা উচিত। দুই মাস তিন মাস পর পর মনিটরিং করা হলে এরকম অনিয়ম কখনও হবে না।