শিরোনাম
রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭:৫৮, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
গত ১৮ এপ্রিল শুক্রবার রাত ৮ টার সময় র্যাব-৫ এর একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নওগাঁ সদর থানাধীন রামরায়পুর আড়ারাপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
অভিযুক্ত নান্টু (২৮) বোয়ালিয়া থানাধীন তালাইমারি শহিদ মিনার এলাকার কালু মিয়ার ছেলে। অপর সহযোগী খোকন মিয়া (২৮) একই এলাকার মৃতঃ আঃ সাত্তারে ছেলে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ভিকটিম মৃত আকরাম হোসেন (৫২) তালাইমারি শহিদ মিনার এলাকার বাসিন্দা। সে পেশায় একজন বাস ড্রাইভার। আসামী নান্টু (২৮) তাহার প্রতিবেশি। ভিকটিমের পরিবারের সাথে নান্টুর পূর্ব থেকেই শত্রুতা ছিল।
ভিকটিমের মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী। ঘটনার দিন সময় বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটের সময় ভিকটিমের মেয়ে প্রাইভেট পড়া শেষ করে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন তালাইমারি শহিদ মিনার এলাকায় অটোরিকশা থেকে নেমে বাসায় যাওয়ার পথে আসামী নান্টু ও তার সহযোগীরা তাকে গালিগালাজ করে উত্তক্ত করে।
মৃত আকরাম হোসেন ও তার ছেলে উত্যক্তর প্রতিবাদ করায় তার প্রতিবেশী আসামী নান্টু ও তার সহযোগী ৯-১০ জন মিলে লোহার রড, বাশের লাঠি, কাঠের লাকরি, ইটের আধলা নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য ধাওয়া করে। ছেলে ইমাম হোসেন অনন্তকে (২৪) প্রাণ বাচাঁনোর তাগিদে আকরাম হোসেন (৫২) ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আসামীরা তাকেও মারধর করা শুরু করে। ঘটনার একপর্যায়ে ভিকটিমের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করলে ভিকটিম গুরুতর আহত হন। পরবর্তীতে আশে পাশে থাকা লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা উক্ত স্থান হতে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসীর সহায়তায় ভিকটিমকে অটোরিকসা যোগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কতর্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রাত ১০টা ৪৫ মিনিটের সময় ভিকটিমকে মৃত ঘোষনা করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা উক্ত ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।