শিরোনাম
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮:০৫, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
নিহতের বাড়িতে শত শত জনতা ভিড় করে । ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত সুলেখা (৪০) নারান্দী গ্রামের বাসিন্দা এবং পাশের নয়াপাড়া গ্রামের আব্দুলের মেয়ে এবং ৪ কন্যা সন্তানের জননী। অপর দিকে ঘাতক স্বামী রব মিয়া নারান্দী গ্রামের মৃত চান্দু মিয়ার ছেলে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, একসময় কাপড়ের ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন রব মিয়া। সংসারও চলছিল স্বাভাবিক। তবে কিছু বছর ধরে তিনি মানসিকভাবে অস্থির হয়ে পড়েন। ঘটনার দিন দুপুরে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে শুরু হয় তীব্র বাক-বিতণ্ডা। একপর্যায়ে রব মিয়া ছুরি হাতে তুলে নেন এবং ঘরের ভেতরেই সুলেখার গলায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। ঘটনার পর, হাতে রক্তমাখা ছুরি নিয়ে ঘরের ভেতর বসে থাকতে দেখা যায় রব মিয়াকে।
রব মিয়া দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে এলাকাবাসী জানায়। এ খবর জানাজানি হলে নিহতের বাড়িতে শত শত জনতা ভিড় করে এবং পুলিশকে জানায়। সঙ্গে সঙ্গে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বামীকে নিহতের লাশের পাশে ওই অবস্থায় দেখতে পায়।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। রব মিয়াকে ঘরেই পাওয়া গেছে, তাকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এসএ