শিরোনাম
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২:০৫, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
আহত দুজনই এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে । ছবি: ঢাকা একপ্রেস
আহতরা হলেন- কালীগঞ্জ পৌরসভার বলিদাপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে ইফতেখার আনোয়ার প্রেম (১৫) ও তার বন্ধু মোবারকগঞ্জ চিনিকলের সাবেক ব্যবস্থাপক (অর্থ ও প্রশাসন) মাসুদুর রহমানের ছেলে নাজমুস সাকিব হিমেল (১৫)।
তারা দুজনই এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।
এদিকে ছুরিসহ হাতেনাতে ধরা পড়া যুবক রিয়াজ হোসেন (২২) ওরফে ট্যাটু রিয়াজ যশোর পুলিশ লাইন এলাকার নান্নু মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকে কালীগঞ্জের হিমেল ও যশোরের রিয়াজ একে অপরকে হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই জেরে যশোর থেকে রিয়াজ ও তার বন্ধু কালীগঞ্জ মোবারকগঞ্জ চিনিকল কলোনিতে আসে। কলোনির মধ্যে বাসার নামে তাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে যায় রিয়াজ ও তার বন্ধু। সেখান থেকে তারা মোবারকগঞ্জ চিনিকল স্কুল মাঠে গিয়ে হিমেলের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে।
এক পর্যায়ে রিয়াজ ছুরিকাঘাতে হিমেলকে জখম করে। এ সময় হিমেলের বন্ধু ইফতেখার আনোয়ার বাধা দিতে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে রিয়াজকে ছুরিসহ ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হৃদয় হোসেন বলেন, বুধবার বিকেলে ছোটভাইদের সঙ্গে স্কুল মাঠে বসে ছিলাম। এসময় হিমেল সেখানে আসে। যশোর থেকে আসা দুই যুবক এসে হিমেলের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। ঠেকিয়ে দিলে যশোর থেকে আসা যুবকরা মিলের মধ্যে এক আত্মীয়ের বাসায় যায়। এরপর আবার ফিরে এসে হিমেলকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেন রিয়াজ। তখন তাদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়।
হৃদয় বলেন, এক পর্যায়ে রিয়াজ পকেট থেকে ছুরি বের করে চালাতে থাকেন। দেখি, হিমেল ও প্রেমের পায়ে ছুরির আঘাত লেগেছে। তাদের পা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। পরে তাদের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয়রা।
কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, আটক রিয়াজের কাছ থেকে অত্যাধুনিক চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও অভিযোগ পাইনি। তবে জখমের শিকার শিক্ষার্থীদের পরিবার অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আহতরা চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা ঝুঁকিমুক্ত বলে জেনেছি। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এসএ