শিরোনাম
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:১৪, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
অভিযুক্ত মো. বাহার । ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
ভুক্তভোগী শিশুটি স্থানীয় একটি প্রাইমারি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। স্কুলে যাওয়ার সময় রাস্তা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় ওই বৃদ্ধ।
স্থানীয় রব রোড বাজারের ওষুধ বিক্রেতা কবির হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিশুটি বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় রাস্তা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে স্থানীয় মজিবরের মুরগির ফার্মে বৃদ্ধ বাহার শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় স্থানীয় খবিরের ছেলে স্বপন বিষয়টি দেখে তার সমবয়সী সিয়াম, মাহফুজসহ কয়েকজনকে ডেকে এনে দেখায়। পরে অভিযুক্ত বৃদ্ধ শিশুটিকে ছেড়ে দিয়ে সিয়ামসহ অন্যদের প্রত্যেককে ৫০ টাকা করে দিয়ে কাউকে এ বিষয়টি না জানানোর জন্য বলে। বাড়িতে গিয়ে কাউকে জানালে শিশুটিকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে স্থানীয় আমজাদ মিয়া জামে মসজিদের ভিতরে ঘুমিয়ে পড়েন অভিযুক্ত বাহার।
শিশুটি বাড়িতে গিয়ে কান্নাকাটি করলে শিশুটির মা কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করলে সবকিছু খুলে বলে সে। অন্যদিকে ঘটনাটি দেখতে পাওয়া শিশুরা গিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের কাছে ঘটনাটি বলে দেয়। পরে দুপুর ১২টার দিকে শিশুটির পরিবার ও স্থানীয়রা বৃদ্ধকে খুঁজে বের করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশ খবর দেয়। এসময় বৃদ্ধের গলায় জুতার মালা ঝুলিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে পুলিশ গিয়ে বৃদ্ধ বাহারকে থানায় নিয়ে আসেন।
ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবার জানায়, বাহার এর আগেও একাধিকবার জোর করে শিশুটিকে যৌন নিপীড়ন করে বলে শিশুটি তাদের জানিয়েছেন। এছাড়া বছর খানেক আগে স্থানীয় মহিউদ্দিন কোম্পানির একটি পরিত্যাক্ত বাড়িতে স্থানীয় একটি শিশুকে ফুসলিয়ে নিপীড়ন করার সময় স্থানীয়রা তাকে হাতেনাতে আটক করেন বলেও জানান তারা। পরে বয়সের বিবেচনায় সাধারণ ক্ষমা করে দেন স্থানীয়রা।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী শিশুটি স্কুলে যাওয়ার সময় বৃদ্ধ বাহার তাকে কোলে করে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টাকালে শিশুটির সহপাঠী কয়েকজন ছেলে তা দেখে পেলে। বিষয়টি শিশুটি তার পরিবারকে খুলে বলে। পরে স্থানীয়রা অভিযুক্ত বৃদ্ধ স্থানীয় একটি মসজিদ থেকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে আসে। এ বিষয়ে শিশুটির পরিবার বাহারের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান ওসি।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এসএ