শিরোনাম
রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২:০০, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
মুক্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা । ছবি: সংগৃহীত
পিসিপি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তথ্য ও প্রচার সম্পাদক রিবেক চাকমা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- পিসিপি চবির শাখা সদস্য রিশন চাকমা ও তার চার বন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো এবং চারুকলা বিভাগের অলড্রিন ত্রিপুরাকে ধাপে ধাপে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে পিসিপি।
বর্ষবরণের বিঝু উৎসব শেষে চট্টগ্রামে ফেরার পথে ১৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬টায় খাগড়াছড়ির সদর উপজেলার গিরিফুল এলাকা থেকে পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা একজন গাড়ি চালককেও তুলে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনার জন্য সন্তু লালমার সমর্থক পিসিপি অংশের নেতারা শুরু থেকেই পাহাড়ের তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক সংগঠন ইউপিডিএফকে দায়ী করলেও; প্রসীত খিসার নেতৃত্বাধীন অংশটি তা অস্বীকার করে আসছিল।
পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবিতে পার্বত্য তিন জেলায় ধারাবাহিক বিক্ষোভ করছিলেন শিক্ষার্থীরা। নয় দিন পর তাদের মুক্তির খবর এল। তবে কোথায়, কখন তাদের মুক্তি দেয়া হয়েছে সেই বিষয়ে কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পিসিপি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবিতে আপামর সাধারণ শিক্ষার্থী, প্রগতিশীল ব্যক্তি ও ছাত্র সংগঠনসমূহ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন গড়ে তোলে। অবশেষে ব্যাপক জনরোষের মুখে পড়ে অপহরণকারীরা কয়েক দফায় মুক্তি দিয়েছে।
ইউপিডিএফের প্রতিবাদ
এদিকে রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার জীবতলি মইন এলাকায় ইউপিডিএফ নেতা উদয় চাকমার মাধ্যমে শিক্ষার্থী দিব্যি চাকমাকে তার পিতা ধনঞ্জয় চাকমার কাছে হস্তান্তর করা হয় মর্মে যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ কাল্পনিক, মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফের রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা বলেন, শুধুমাত্র জেএসএস সন্তু গ্রুপের ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীদের কাল্পনিক অভিযোগের ভিত্তিতে খাগড়াছড়িতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থীকে কথিত অপহরণ ঘটনায় ইউপিডিএফকে জড়ানো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক। ইউপিডিএফ সংগঠক অংগ্য মারমা ইতিমধ্যে মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে উক্ত কথিত অপহরণ ঘটনার সাথে ইউপিডিএফের জড়িত থাকার অভিযোগ দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এরপরও কথিত ঘটনার সাথে ইউপিডিএফকে জড়িয়ে রাষ্ট্রীয় বিশেষ মহল ও জেএসএস সন্তু গ্রুপ যেভাবে হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘কাউখালীর জীবতলি মইন এলাকা থেকে শিক্ষার্থী দিব্যি চাকমাকে ইউপিডিএফ নেতার মাধ্যমে তার পিতা ধনঞ্জয় চাকমার নিকট হস্তান্তর করার তথ্যটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক, মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। ইউপিডিএফ পাঁচ শিক্ষার্থীর কথিত অপহরণ কিংবা তাদের মুক্তির সাথে আদৌ সংশ্লিষ্ট নয়। ইউপিডিএফের রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এভাবে ষড়যন্ত্রমূলক কাল্পনিক তথ্য সাজিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এসএ