ঢাকা, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

২৩ মাঘ ১৪৩১, ০৬ শা'বান ১৪৪৬

সবজি-মাছে স্বস্তি, তেল-চালের বাজার চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩:১৯, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ১৩:১৯, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫

সবজি-মাছে স্বস্তি, তেল-চালের বাজার চড়া

সরবরাহ বাড়ায় কমতে শুরু করেছে শাক-সবজি, আলু ও পেঁয়াজের দাম। তবে ঘাটতির অজুহাতে আরও অস্থির হয়ে উঠেছে চাল ও তেলের বাজার। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ানবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজারঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

মাঘের মাঝামাঝি সময়ে এসে রাজধানীর বাজারগুলোতে আরও বাড়ছে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ। দোকানিরাও এর পসরা সাজিয়ে বসছেন। এতে হাতে গোনা কয়েকটি সবজির দাম ওঠানামা করলেও কমেছে বেশিরভাগের দাম।

বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৪০-৫০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, মুলা ১৫-২০ টাকা, লতি ৫০ টাকা ও পটোল ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৩০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, টমেটো ৩০-৪০ টাকা, শিম ২০ টাকা, শালগম ২০ টাকা, মটরশুঁটি ১০০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি কেজি ধনেপাতা ২০-৩০ টাকা, পেঁয়াজের কলি ২০-২৫ টাকা, পাতাসহ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ২০-২৫ টাকা, বাঁধাকপি ২৫-৩০ টাকা, ব্রকলি ৩০-৪০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা।

কমেছে কাঁচা মরিচের দামও। খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকায়, আর পাইকারিতে ৩০-৪০ টাকা। এছাড়া বাজারে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পুঁইশাক ২০-২৫ টাকা, লাউশাক ৩০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা, মেথি শাক ১০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়।

সবজির দামের নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে আলু ও পেঁয়াজের বাজারেও। বর্তমানে প্রতিকেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। পাইকারি পর্যায়ে যা কেজিপ্রতি ১৮-২০ টাকা ও আড়তে বিক্রি হচ্ছে ১৬ টাকায়।

খুচরা ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা বলছেন, নতুন আলুর সরবরাহ বাড়ায় দাম ভোক্তার একদম হাতের নাগালে চলে এসেছে। আড়ত পর্যায়ে দাম নেমেছে ১৬ টাকায়। গত মাসেও যা ছিল নাগালের বাইরে। মূলত সরবরাহ বাড়ায় দাম পড়ে গেছে।

আর কেজিতে ৫ টাকা কমে খুচরায় প্রতি কেজি পুরান দেশি পেঁয়াজ ৮৫-১০০ টাকা, নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়। আর পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৪০-৪৪ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০-৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজি, আলু ও পেঁয়াজের দাম কমায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। তারা বলেন, আমদানি বাড়ালে ও নিয়মিত বাজার মনিটরিং করলে দাম কমবে। এতে স্বস্তি পাবে সাধারণ ভোক্তারা।

তবে অস্থিরতা কমেনি চালের বাজারে। বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৮০ টাকা, আটাইশ ৫৮-৬০ টাকা, মোটা স্বর্ণা ৫২-৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬-৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১১৬-১১৮ টাকায়।

একই অবস্থা তেলের বাজারেও। দাম বাড়ানোর এক মাস পরও বাজারে কৃত্রিম সংকট কাটেনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের। ভোক্তাদের অভিযোগ, বোতলজাত পাঁচ লিটারের তেল কিছুটা পাওয়া গেলেও এক ও দুই লিটারের বোতলজাত তেল পাওয়া যাচ্ছে না পর্যাপ্ত পরিমাণে। হাতে গোনা দু-একটি দোকানে পাওয়া গেলেও তা নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। আর বোতলজাত সয়াবিন তেলের চেয়েও বেশি দামে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হতে দেখা গেছে। খোলা সয়াবিন তেল কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায়। তবুও মিলছে পর্যাপ্ত পরিমাণে।

কমেছে মাছের দামও। খুচরা পর্যায়ে মাঝারি সাইজের পাঙাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি, কিছুটা বড় পাঙাস বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৫০ টাকাতে। তেলাপিয়া মাছও বিক্রি হচ্ছে একই দামে ১৮০-১৯০ টাকা। বাজারে সরপুঁটি মাছ ২০০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকায়, বড় আকৃতির রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়, ছোট আকৃতির রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকার নিচে। পাবদা মাছ ৩৫০ টাকা, কার্প ২২০-২৪০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, মলা মাছ ৩৫০ টাকা এবং শোল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে।

আরও পড়ুন