শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯:৫০, ৬ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ০০:০৬, ৭ মার্চ ২০২৫
রমজানে খাদ্যাভাস যা হওয়া উচিত
রমজানে হুট করেই অভ্যস্ত রুটিন বদলে যাওয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। এছাড়া ইফতারে উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া, কম শারীরিক পরিশ্রম করার কারণেও নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। রোজার সময় গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা বাড়ে। রোজা রেখে সুস্থ থাকতে চাইলে কিছু বিষয়ের প্রতি মনোযোগ দেওয়া খুবই জরুরি।
-সেহরিতে দই, চিড়া, কলা অথবা ভাত-রুটি, মিক্সড সবজি, মাছ, ডিম, মাংস খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে হজম শক্তি বাড়াবে।
-ইফতারের খাবারে খেজুর, শরবত, তিন রকমের ফল, সালাদ, ছোলা, ডিম সেদ্ধ, মুড়ি ইত্যাদি রাখুন।
-যাদের চা কফি পানের অভ্যাস আছে তারা মাগরিবের নামাজের পর লাল চা ও গ্রিন টি পান করুন।
-রাতে কোনো কিছুই না খেয়ে ঘুমাবেন না। অন্তত পক্ষে হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। যেমন সবজি ও মাছ ইত্যাদি। অথবা ঘুমানোর আগে ১ গ্লাস দুধ পান করুন।
-তারাবির সালাত আদায় করুন। ব্যায়াম হবে ও শরীরও সুস্থ থাকবে।
-দৈনিক রমজান মাসের যে কোনো সময়ে কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটুন।
-ইফতার ও সেহরিতে এড়িয়ে ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত তেল, মসলা, সাদা চিনি, বাইরের জুস, রাস্তার ফাস্টফুড চলুন।
-দৈনিক কমপক্ষে আড়াই লিটার পানি পান করুন।
-ফ্রিজের ঠান্ডা পানি এড়িয়ে চলুন। ঠান্ডা পানি খেলে হজমশক্তি কমে যায়।
-পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক ডায়েট চার্ট অনুসরণ করুন।
রমজান মাসে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কারণে আমাদের শরীরে নানা পরিবর্তন আসে। তাই সঠিক খাদ্যাভাস মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেহরি ও ইফতারে কী খাওয়া উচিত এবং কী এড়ানো উচিত, তা জানা থাকলে শরীর সুস্থ রাখা সহজ হয়। পাশাপাশি, পর্যাপ্ত পানি পান, সুষম খাদ্য গ্রহণ ও নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ করলে রমজানেও সুস্থ থাকা সম্ভব। এই নিবন্ধে আমরা রমজানে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসের বিস্তারিত আলোচনা করব।