শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪:২৭, ৭ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ০১:০৮, ৮ মার্চ ২০২৫
আজ বায়তুল মোকাররমে কেনো ভিন্ন চিত্র
নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের ‘মার্চ ফর খিলাফাহ’ কর্মসূচি ঘিরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শুক্রবার (৭ মার্চ) সকাল থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কড়া অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে।
প্রতি দিনের মতো আজও জুমার নামাজ শুরুর আগেই অনেকে বায়তুল মোকাররমে পৌঁছেছেন। তবে আজ পরিস্থিতি অন্যান্য সাধারণ জুমাবারের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন। হিযবুত তাহরীরের কর্মসূচি ও দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় বায়তুল মোকাররমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কয়েকটি ইউনিট সকাল থেকেই মসজিদে প্রবেশ করা মুসল্লিদের তল্লাশি করছেন। তাদের শরীর ও ব্যাগ তল্লাশি করা হচ্ছে, যাতে কোনও ধরনের নাশকতামূলক বস্তু বা সন্দেহজনক উপাদান না আসে।
হিযবুত তাহরীর দীর্ঘদিন ধরে গোপনে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তবে সম্প্রতি সরকারবিরোধী কার্যক্রমে প্রকাশ্যভাবে অংশ নিতে শুরু করেছে। বিশেষ করে গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে সংগঠনটি সরকারের বিরুদ্ধে নানা কর্মসূচি শুরু করে। এর মধ্যে মিছিল, গোলটেবিল বৈঠক এবং বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন অন্তর্ভুক্ত ছিল। এরইমধ্যে সংগঠনটি চট্টগ্রামে নানা কর্মসূচিও পালন করেছে।
আজ হিযবুত তাহরীর তাদের ‘মার্চ ফর খিলাফাহ’ কর্মসূচি ঢাকার বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আয়োজনের ডাক দেয়। এর জন্য সংগঠনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগিয়েছে এবং লিফলেট বিতরণ করেছে। তবে যেহেতু হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ সংগঠন, তাই তাদের কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকার হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সেই সময় থেকে তাদের কোনও ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, পোস্টার বা লিফলেট বিতরণসহ অন্য কোনও প্রচারণামূলক কার্যক্রমকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।
রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আজ এক ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। প্রতিদিনের মতো সাধারণ মুসল্লিদের উপস্থিতি থাকলেও আজকের পরিস্থিতি ছিল ব্যতিক্রমী। জনস্রোত, প্রশাসনের তৎপরতা ও বিভিন্ন গোষ্ঠীর উপস্থিতি পুরো এলাকা অন্যরকম করে তুলেছে। কিন্তু কেন এই ব্যতিক্রমী দৃশ্য? প্রশাসনের ভূমিকা কী? বিস্তারিত জানতে পড়ুন…