শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১১, ৯ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ১৪:৩৯, ৯ মার্চ ২০২৫
জাতীয় নির্বাচনেও তিন শ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে এনসিপি
আগামী জাতীয় নির্বাচনে অন্য কোনো দলের সঙ্গে জোটে যাবে না জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গণপরিষদ নির্বাচন দাবির পাশাপাশি তাই জাতীয় নির্বাচনেও তিন শ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার সক্ষমতা আছে বলে জানিয়েছেন এনসিপির নেতারা।
দলের নেতারা জানিয়েছেন, দলের নিবন্ধন পেতে ঈদের পর নির্বাচন কমিশনে আবেদন করা হবে। নিবন্ধন নিশ্চিত করতে এখন ইসির শর্তপূরণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। পাশাপাশি গঠন করা হচ্ছে যুব উইং। এরপর ধারাবাহিকভাবে গঠন হবে স্বেচ্ছাসেবকসহ নানা পেশাজীবী সহযোগী সংগঠন।
দলীয় প্রতীক এখনো চূড়ান্ত হয়নি এনসিপির। তবে নতুন ঘোষিত এই দলটির এরই মধ্যে গঠন করা হয়েছে ২৪০ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি।
দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, এই কমিটির মেয়াদ এক বছর। এরপর হবে জাতীয় কাউন্সিল। পাশাপাশি দ্রুততম সময়ে চূড়ান্ত হচ্ছে গঠনতন্ত্র। কমিটির পরিসর নিয়ে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা থাকছে সেই গঠনতন্ত্রে।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার জানিয়েছেন, ‘ঈদের পর দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা হবে।’
দলটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, ‘তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত দলটির ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। জাতীয় নির্বাচনের আগে সারা দেশে দলীয় কার্যক্রম বৃদ্ধিই আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।’
দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন বলেন, ‘আমাদের চিন্তা আছে, আমরা তিন শ আসনে প্রার্থী দেব। কারও সঙ্গে জোটের ব্যাপারে এই মুহূর্তে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। আমাদের সংগঠনটা গুছিয়ে বিস্তার করতে চাই।’
জানা গেছে, জাতীয় নাগরিক কমিটির থানা পর্যায়ে সাড়ে চার শ কমিটিও শিগগিরই যুক্ত হচ্ছে মূল দলের সঙ্গে। সেই সঙ্গে থাকছে যুব, কৃষক ও স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনও।
যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘যুবক সম্প্রদায়কে বর্তমান দলগুলো কেন রাজনীতিমুখী করতে ব্যর্থ হয়েছে, এমন মতামত আমরা যুবকদের মুখ থেকেই শুনতে চাই।’
ভোটের রাজনীতিতে মধ্যপন্থার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে জনমানুষের কাছে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছে এনসিপি।