শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩:৩২, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৬:০৬, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন। আর পাকিস্তানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ। এই বৈঠকে অংশ নিতে গতকাল বুধবার আমনা বালুচ ঢাকায় আসেন।
প্রায় দেড় দশক পর স্থবির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে পাকিস্তান উদ্যোগী হয়েছে। আর ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রতিরক্ষাসহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আগ্রহী বাংলাদেশও। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দীর্ঘ ১৫ বছর পর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের এই বৈঠক।
কূটনীতি-বিশ্লেষকদের মতে, সামগ্রিকভাবে প্রায় ১৫ বছর বিরতি শেষে ঢাকায় পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের ষষ্ঠ বৈঠক সম্পর্ককে স্বাভাবিক করে এগিয়ে নেওয়ার পথ সুগম করবে। কিন্তু এই সম্পর্ক টেকসইভাবে এগিয়ে নিতে হলে দুই দেশেরই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করে প্রস্তুতি নেওয়াটা বাঞ্ছনীয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছ থেকে ১৯৭১ পূর্ববর্তী সময়ের হিস্যা অনুসারে ৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার পাবে। এর একটি বড় অংশ ১৯৭০ সালে ঘূর্ণিঝড়ের পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পাঠানো হয়েছিল। জানা গেছে, ২০ কোটি ডলারের বৈদেশিক সহায়তা এসেছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের ঢাকা শাখা থেকে এই অর্থ লাহোর শাখায় সরিয়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া পাকিস্তান ছেড়ে বাংলাদেশে চলে আসা সরকারি কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও সঞ্চয়পত্রের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি।
পরিকল্পনা কমিশনের মতে, সরকারি কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা ৯০ লাখ টাকা আটকে রেখেছিল পাকিস্তান সরকার। যুদ্ধকালে রূপালী ব্যাংকের করাচি শাখায় রাখা ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকাও ফেরত আসেনি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতি অর্থের অর্ধেক ৪৩৫ কোটি রুপির দাবিদার বাংলাদেশ। পাকিস্তানের ব্যাংকিং বিভাগ থেকেই বাংলাদেশ পাবে প্রায় ৬০ কোটি রুপি।