ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

২০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১, ০৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিরোনাম

Scroll
সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব, স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষায় সবাই ঐক্যমত: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে আসিফ নজরুল
Scroll
ডেঙ্গুতে সারাদেশে একদিনে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬২৯ জন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
Scroll
দিল্লিকে দিয়ে দেশ শাসন করেছে আওয়ামী লীগ; ক্ষমতায় থাকার জন্য ভারতের গোলামী করেছে; ভারতের সাথে ধর্মীয় কারনে সম্পর্কের অবনতি হয়নি; এই আন্দোলন ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ আর থাকবে না: হাসনাত আব্দুল্লাহ
Scroll
বাংলাদেশী রোগীদের চিকিৎসা বন্ধের হুমকির তীব্র নিন্দা ভারতীয় চিকিৎসকদের বৃহত্তম সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-আএমএ’র; চিকিৎসা সেবায় বাঁধা দিলে আন্দোলনের হুশিয়ারি
Scroll
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে অংশ নিতে সুগন্ধায় পৌঁছেছে বিএনপির প্রতিনিধি দল
Scroll
এ বছর সীমান্তে বাংলাদেশ-ভারতের বাসিন্দাদের মিলনমেলা হচ্ছে না
Scroll
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনকে রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ; তিনি সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত
Scroll
তিন বছর ৭ মাস পর চট্টগ্রাম কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আকতার
Scroll
পুলিশের ওপর আক্রমণ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের ১২ অনুসারীকে ছয় দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত
Scroll
১০ দিন আগে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ; সীমান্তে আটক ভারতীয় নাগরিক
Scroll
কয়েকজন বিচারপতির বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে: সুপ্রিম কোর্ট
Scroll
ভারতের উচিত বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করা: মাহফুজ আলম
Scroll
১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের টেস্ট জয়
Scroll
কয়েক ঘণ্টার নাটকীয়তার পর বিক্ষোভের মূখে দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন প্রত্যাহার
Scroll
গণহত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু ও কামরুল ইসলামকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে
Scroll
ভ্যাট দেয়া থেকে অব্যাহতি পেলো জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন
Scroll
সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আজ
Scroll
যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলা; আওয়ামী লীগের রোকেয়া ও মোস্তফা রিমান্ডে
Scroll
দীর্ঘদিনের মিত্র ব্রুক রলিন্সকে কৃষিমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
Scroll
পিকনিক বাস বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তিন ছাত্রের মৃত্যু: পল্লী বিদ্যুতের ৭ জন বরখাস্ত

সর্বজনীন শিশু দিবস

৮ বছরে দেশে ৪ হাজার শিশু হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:৩৩, ২০ নভেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১৫:৪৮, ২১ নভেম্বর ২০২৪

৮ বছরে দেশে ৪ হাজার শিশু হত্যা

পাঁচ বছর বয়সী মুনতাহাকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। কেদেছিল পুরো বাংলাদেশ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই রেশ পাওয়া গেছে। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। জনমনে এ ঘটনার ধাক্কার রেশ না কাটতেই ১৬ নভেম্বর রাজধানীতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে দুই ভাই শিশু রোহান (৭) ও মুসা (৩)। হত্যা করেছে তাদেরই বাবা। পাশের রুম থেকে নানা নাকি শুনছিলেন, বাচ্চারা কেঁদেছিল আর বলছিল, বাবা আর মেরো না দুষ্টুমি করবো না। 

ভয়াবহ হারে বেড়েছে শিশু হত্যা

গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে ১০ মাসে শিশু নির্যাতনের নানা ঘটনা তুলে ধরে শিশু অধিকারবিষয়ক জোট ‘চাইল্ড রাইটস অ্যাডভোকেসি কোয়ালিশন ইন বাংলাদেশ’ (সিআরএসিবি)। এতে বলা হয়, অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ, অপহরণ, যৌন হয়রানিসহ শিশুর প্রতি নানা সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। বছরের প্রথম ১০ মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ২১৭টি শিশু। এর মধ্যে ছেলে শিশু ৩২টি। ধর্ষণের শিকার শিশুদের মধ্যে ১৫টি শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। ১০ মাসে ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছে ৬১টি শিশু। আর শিক্ষকের হাতে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে ৮৫টি শিশু। চলতি বছরের গত ১০ মাসে (জানুয়ারি-অক্টোবর) শারীরিক নির্যাতন, সহিংসতা, ধর্ষণ, অপহরণ ও নিখোঁজের পর হত্যাসহ বিভিন্ন কারণে ৪৮২ শিশু নিহত হয়েছে। এর মধ্যে কোটা সংস্কার তথা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গুলিতে ১২১ শিশু মারা যায়।

ছাত্র আন্দোলনের সময় বল প্রয়োগ করে ব্যাপক দমন-পীড়ন চালায় তৎকালীন সরকার। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় ১২১ শিশু, যাদের বয়স ১৮ বছর পর্যন্ত। এ নিয়ে এ বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৪৮২ শিশু নিহত হয়েছে, যা আগের বছরে একই সময়ের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি। ২০২৩ সালে প্রথম ১০ মাসে ৪২১টি শিশু নিহত হয়েছিল। আর গত বছর নির্যাতনের শিকার হয়েছিল ৯২০টি শিশু। এ বছর তা ৩৭ শতাংশ কমে ৫৮০টিতে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্বজুড়ে ভয়াবহতা

বিশ্বজুড়ে শিশুদের ওপর সহিংসতা বেড়েই চলছে। জাতিসংঘের তথ্য মতে, যুদ্ধের কারণেই বর্তমানে প্রায় বেশির ভাগ শিশুর জীবন বিপন্ন হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে শিশু ধর্ষণসহ হত্যা এবং শ্লীলতাহানির ঘটনা । এই শিশুদের বড় অংশই বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ, সংঘাত, এবং দ্বন্দ্বের কারণে নির্যাতনের  শিকার হচ্ছে। ইউনিসেফের এক অনুষ্ঠানে ডিরেক্টর ম্যানুয়াল ফনটেইন বলেন, এই নির্যাতনের ফলে শিশুগুলো তাদের বাড়ি, শিক্ষা, খেলার জায়গা হারাচ্ছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) লেবাননে অভিযান শুরুর পর থেকে গত দু’মাসে দেশটিতে নিহত হয়েছে ২ শতাধিক শিশু এবং আহত হয়েছে আরও ১ হাজার ১০০ জন। জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এল্ডার এ তথ্য জানিয়েছেন। গাজা হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ৩৪ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে নারী-শিশুই প্রায় ৭০ শতাংশ। আহত অগুনতি। প্রায় ২০ হাজার শিশু এতিম তথা পরিবারশূন্য হয়েছে। এছাড়া মিয়ানমারের বেশির ভাগ রোহিঙ্গা শিশু, নাইজেরিয়ার শিশু, সাউথ সুদানের শিশু, ইয়েমেন, সেন্ট্রাল আফ্রিকান শিশু নির্যাতনের হার বেশি বলে বিবিসির বিশ্লেষণে উঠে এসেছে। জঙ্গি সংগঠন বোকোহারাম নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম ক্যামেরুনে প্রায় ১৩৫ জন শিশুকে আত্মঘাতী বোমা হিসেবে ব্যবহার করেছে। ইউনিসেফ জানায়, এই হত্যাকাণ্ড বছরের পর বছর ধরে হয়ে আসছে। এই নির্মমতা নতুন কিছু না হলেও এর ভয়াবহতা দিন দিন বাড়ছে। কিছু জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে মুক্তি পাওয়ার পর চরমপন্থি দলগুলো দ্বারা অপহরণ করে শিশুদের ব্যবহার করা হচ্ছে। শুধু নির্যাতন নয়, ক্ষুধা ও দারিদ্রের কারণেও গড়ে প্রতিদিন প্রায় গড়ে ৯ হাজার শিশু মারা যাচ্ছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়: এক শ’ মিলিয়ন শিশু দাসত্ব, পাচার ও শিক্ষাবঞ্চনাসহ বিভিন্ন সহিসংতার শিকার হচ্ছে। আর বিশ্বের ২শ’ ৩০ মিলিয়ন শিশু সংঘাতপূর্ণ এলাকায় বসবাস করছে। তাদের জীবন ও শিক্ষা বিপদগ্রস্ত।

গত ৮ বছরের বাংলাদেশ চিত্র

একটু পেছনে ফিরে তাকালে দেশে গত আট বছরে যে ৪ হাজারের বেশি শিশু হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে, তারই সাম্প্রতিকতম নজির মুনতাহা, রোহান, মুসারা। বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮ বছরে অন্তত ৪ হাজার ৩৮০ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এর সঙ্গে চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসের পরিসংখ্যান যুক্ত করলে সংখ্যাটা আরও ৪৮২ জন বাড়বে। মূলত মানবাধিকার ও আইন বিষয়ে কাজ করা সংগঠন আসকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই আট বছরে সহিংসতার শিকার হয়েছে ১০ হাজার ৪১ শিশু। আসক বলছে, শিশু হত্যা এবং তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার প্রকৃত চিত্র আরও ভয়াবহ। কারণ, তাদের পরিসংখ্যানে শুধু দেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ঘটনাগুলোই উঠে আসে। এর বাইরে শিশু হত্যা ও নির্যাতনের বহু ঘটনা অপ্রকাশিত থেকে যায়।

মামলা এড়িয়ে চলা হয়

পরিসংখ্যান বলছে, গত আট বছরে ৪ হাজার ৩৮০ শিশু হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৭৪৫টি। আর ১০ হাজার ৪১ শিশুর সহিংসতার শিকার হওয়ার ঘটনার বিপরীতে মামলা হয়েছে ৫ হাজার ৭২টি। অর্থাৎ প্রাণহানি না ঘটলে মামলা করার প্রবণতা তুলনামূলক অনেক কম। ‘উই ক্যান’ জোটের সমন্বয়ক জিনাত আরা হক বলেন, শিশু হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রে নিজের পরিবারের সদস্যরা জড়িত থাকে। এ কারণে অনেক ক্ষেত্রে মামলা হয় না। আসকের সমন্বয়ক তামান্না হক রীতি বলেন, ‘বাংলাদেশ ১৯৯০ সালে জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদে অনুস্বাক্ষর করে। তবে শিশু অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের অঙ্গীকার আরও পুরোনো। এই সনদে স্বাক্ষরের বহু আগে, স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে শিশু অধিকার আইন প্রণীত হয়। কিন্তু দুঃখজনক বিষয়, এত বছরেও আমরা শিশুদের নিরাপত্তা এবং অধিকার নিশ্চিত করতে পারিনি।’

গবেষকরা কি বলছেন

গবেষণা সংস্থা টেরি ডেস হোমসের কান্ট্রি ডিরেক্টর এম কবির বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, এখন পর্যন্ত আমরা শিশুদের নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে খুব বেশি পরিকল্পনা কিংবা পদক্ষেপ লক্ষ করছি না।’ শান্তা ইসলাম বলেন, ‘গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ শিশু অধিকার রক্ষায় বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করলেও শিশুদের পরিস্থিতি আশানুরূপ অগ্রগতি অর্জন করেনি; কেননা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এসব পদক্ষেপের বাস্তবায়ন ঘটেনি।’

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের গত তিন মাসে শিশু অধিকারের বিষয়টি তুলনামূলকভাবে উপেক্ষিত রয়েছে বলে মনে করেন কোনো কোনো শিশু অধিকারকর্মী। এ বিষয়ে মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার একটি সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিটি শিশু ও কিশোর-কিশোরীর জন্য সহিংসতামুক্ত, সুরক্ষিত পরিবেশ গড়ে তুলতে স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং মা-বাবাকে সম্পৃক্ত করে কাজের পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।’ আসকের চেয়ারপারসন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক আইন আছে। অনেক কিছু আছে; কিন্তু আমরা শিশুদের জন্য নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ রাষ্ট্র দিতে পারছি না।’ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শিশু হত্যা ও সহিংসতার ঘটনায় মামলা হয় অনেক কম। যেসব মামলা হয়, সেগুলোতেও বিচার ও সাজার নজির কম। অনেক ক্ষেত্রে মামলায় দীর্ঘসূত্রতার কারণে অপরাধী পার পেয়ে যায়। 

আজ বিশ্ব শিশু দিবস

সর্বজনীন শিশু দিবস আজ ২০ নভেম্বর। বিশ্বজুড়ে শিশুর অধিকার সুরক্ষায় ১৯৮৯ সালের এই দিনে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে শিশু অধিকার কনভেনশন বা সনদ (সিআরসি) গৃহীত হয়। সেই থেকে প্রতিবছর ২০ নভেম্বর সর্বজনীন শিশু দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘অন্তর্ভুক্তি, প্রত্যেক শিশুর জন্য’। অর্থাৎ যে কোনো সমাজ, সম্প্রদায় বা জাতীয়তার প্রত্যেক শিশু সমান অধিকারের অধিকারী। এ দিবস বিভিন্ন সভ্যতার শিশুদের মধ্যে বৈষম্য দূর করার ওপরেও জোর দেয়। বিশেষ এই দিনে ইউনিসেফ শিশুদের সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলো সমাধানে সমর্থন আদায় করে; শিশু অধিকার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ায় এবং প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহ করে।

১৯৮৯ সালের ২০ নভেম্বর বিশ্বনেতারা শিশু অধিকার বিষয়ে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ বাস্তবায়ন করেন। এটি পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যাপকভাবে অনুমোদিত মানবাধিকার চুক্তি। শিশু অধিকার সনদের আলোকে শিশুদের জন্য এবং শিশুদের নিয়ে বিশ্বব্যাপী ইউনিসেফ বিশ্ব শিশু দিবস পালন করে। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন তারিখে শিশু দিবস পালন করা হয়। বাংলাদেশে ১৯৯৬ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনকে (১৭ মার্চ) শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। অন্যদিকে অক্টোবরের প্রথম সোমবারকে ধরা হয় বিশ্ব শিশু দিবস। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জুনের ১ তারিখ শিশু দিবস। আর সর্বজনীন শিশু দিবস পালন করা হয় ২০ নভেম্বর। তবে তারিখ যেটাই হোক না কেন, সবারই কথা শিশুদের জন্য সুন্দর ও নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তোলা। 

আরও পড়ুন