ঢাকা, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

২২ মাঘ ১৪৩১, ০৬ শা'বান ১৪৪৬

শিরোনাম

Scroll
শুল্ক বাড়ানোর প্রতিবাদে সমুদ্র ও স্থলবন্দরে ফল খালাস বন্ধ
Scroll
জানুয়ারিতে সড়কে ঝরেছে ৬০৮ প্রাণ; রোড সেফটির প্রতিবেদন
Scroll
পুরোপুরি কার্যকর ১২ ব্যাংক, বাকিগুলো খুঁড়িয়ে চলছে: অর্থ উপদেষ্টা
Scroll
রাজনৈতিক দলগুলো সাফল্য চাইলেও সরকার সফল হতে পারছে না: মান্না
Scroll
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
Scroll
ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় নিহত প্রায় ৬২ হাজার
Scroll
দেনা আদায়ে সরকারকে চাপ বেসরকারি বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীদের, লোডশেডিংয়ের শঙ্কা
Scroll
বিশ্ব ইজতেমায় আরও এক মুসল্লির মৃত্যু
Scroll
ক্ষমতায় গেলে বিএনপি বিনামূল্যে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবে: খন্দকার মোশাররফ
Scroll
আগামীতে টঙ্গীতে ইজতেমা না করার শর্তে এবছর অনুমতি পেলেন সাদপন্থীরা; মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন
Scroll
ইউএসএআইডির প্রশাসক নিযুক্ত হলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও
Scroll
মেক্সিকো ও কানাডার ওপর শুল্ক স্থগিত করলেন ট্রাম্প, তবে চীনের ওপর নয়
Scroll
ঝাউদিয়া থানার দাবিতে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ
Scroll
সুদানে ভয়াবহ সংঘর্ষ, নিহত অন্তত ৬৫
Scroll
২০৫ ভারতীয়কে দেশে পাঠাল আমেরিকা
Scroll
বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কর্মকর্তার লকার ফ্রিজ করতে গভর্নরকে দুদকের চিঠি

২০২৪-এর আলোচিত রাজনৈতিক উক্তি

বলাবলিতে সেরা শেখ হাসিনা, অন্যরাও কম যাননি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:৩৬, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১৪:২১, ২ জানুয়ারি ২০২৫

বলাবলিতে সেরা শেখ হাসিনা, অন্যরাও কম যাননি

২০২৪—এক ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বছর। বাংলাদেশের জন্য এটি ছিল এক অনন্য ও অভূতপূর্ব অধ্যায়। তরুণ ছাত্রসমাজ এই বছরে দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি এবং দীর্ঘদিনের বৈষম্যের চক্রে পরিবর্তনের হাওয়া নিয়ে আসে। তাদের ত্যাগ আর লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনের। বছরজুড়ে নানা ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীরা, রাজনীতিবিদ, বিচারপতি, এবং ছাত্রনেতারা ছিলেন বিতর্কের কেন্দ্রে। এমনকি সরকারি আমলা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও আলোচনার বাইরে ছিলেন না। বছরজুড়ে তাদের মুখ থেকে বের হওয়া কিছু আলোচিত ও বিতর্কিত উক্তি নিয়েই আজকের বিশেষ আয়োজন।

৪০০ কোটি টাকার পিওন, চলাফেরা হেলিকপ্টারে

১৪ জুলাই চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি নিজের বাসার এক সাবেক কর্মীর বিপুল সম্পদের কথা তুলে ধরেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার বাসায় কাজ করে গেছে এক পিয়ন, সে এখন ৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না। বাস্তব কথা। কী করে বানাল এত টাকা? জানতে পেরেছি, পরেই ব্যবস্থা নিয়েছি।’

রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে?

একই সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরাও পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে?’

রাজাকার শ্লোগান যারা দিচ্ছেন, তাঁদের শেষ দেখিয়ে ছাড়ব

শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলে সম্বোধন করায় ১৪ জুলাই রাতেই উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। ‘তুমি কে, আমি কে? রাজাকার-রাজাকার’ শ্লোগানে মুখরিত হয় হল থেকে রাজপথ। এর জেরে ১৫ জুলাই ছাত্রলীগ এক বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। মিছিল শেষে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, “কোটা সংস্কার আন্দোলনে যাঁরা ‘আমি রাজাকার’ শ্লোগান দিচ্ছেন, তাঁদের শেষ দেখিয়ে ছাড়ব।’

জবাব দেওয়ার জন্য ছাত্রলীগই যথেষ্ট

১৫ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ ডাকে আওয়ামি লীগ। সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কতিপয় নেতারা যে সব বক্তব্য রেখেছে, যারা নিজেদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ মানসিকতার প্রকাশ ঘটিয়েছে; তার জবাব দেওয়ার জন্য ছাত্রলীগই যথেষ্ট’।

স্বজন হারানোর কষ্ট আমার চেয়ে আর কেউ বেশি জানে না

১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালায় পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা। রংপুরে পুলিশের গুলিতে প্রকাশ্যে প্রাণ হারান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। ক্রমবর্ধমান সহিংসতার প্রেক্ষিতে ১৭ জুলাই সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন শেখ হাসিনা। ভাষণে তিনি বলেন, ‘কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যা ঘটেছে, তা খুবই দুঃখজনক। অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল। আপনজন হারানোর বেদনা যে কতটা কষ্টের, তা আমার চেয়ে কেউ বেশি জানে না।’

আন্দোলন যাবে-আন্দোলন আসবে, কিন্তু ছাত্রলীগ থাকবে

একই দিনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের কটাক্ষ করে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘এই আন্দোলনে কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী নেই, বরং রাজাকারদের প্রেতাত্মারা আছে। আন্দোলন যাবে, আন্দোলন আসবে। কিন্তু ছাত্রলীগ থাকবে। সবকিছুই মনে রাখা হবে এবং জবাব দেওয়া হবে।’

পলক এবং ইন্টারনেট

জুলাই-আগস্টের আন্দোলনকালীন সময়ে ইন্টারনেট নিয়ে নানা উদ্ভট ও অবাস্তব মন্তব্য করে মাসব্যাপি আলোচনায় ছিলেন জুনায়েদ আহমেদ পলক। বিভিন্ন সময়ে তার করা কিছু মন্তব্য উল্লেখ করা হলো-

১৮ জুলাই: পরিস্থিতি বুঝে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে

১৮ জুলাই: দুর্বৃত্তদের আগুনে ডেটা সেন্টার পুড়ে গেছে। কবে নাগাদ ইন্টারনেট চালু হবে, নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়

২৪ জুলাই: আজ ৯ টায় আমরা ইন্টারনেট বন্ধ করিনি, ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেছে

২৬ জুলাই: সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করেনি, বন্ধ হয়ে গেছে।

শেখ হাসিনা পালায় না

কোটা আন্দোলনের উত্তাল সময়কালে, ‘২২ জুলাই নিজ কার্যালয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শেখ হাসিনা। বৈঠকে আন্দোলন নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, গুজব ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। শেখ হাসিনা বলেন, “দেশকে যখন আমরা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছি, তখন দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। আন্দোলনের মধ্যে গুজব ছড়ানো হয়েছে—শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, শেখ হাসিনা নাই। কিন্তু বলে দিতে চাই, শেখ হাসিনা পালায় না।’

জনে জনে খবর দে, এক দফারে কবর দে

৩ আগস্ট জাতীয় শহীদ মিনার থেকে হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। এর প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ফেসবুক পেইজ থেকে ‘এক দফাকে কবর দেওয়ার’ আহ্বান জানানো হয়। দলীয় নেতাকর্মীরাও লেখাটি ব্যাপক হারে শেয়ার করে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।

৭ মিনিটে ঢাকা ক্লিয়ার

আন্দোলন চলাকালীন ফেসবুকে ‘৭ মিনিটে ঢাকা ক্লিয়ার’ করার ঘোষণা দিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল শাখার সভাপতি আতিকা বিনতে হোসাইন। এই খবর প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচারিত হয়। তবে, রিউমার স্ক্যানারের একটি প্রতিবেদনে জানা যায়, যেই অ্যাকাউন্ট থেকে এই পোস্টটি করা হয়, সেটি আসলে আতিকার ভুয়া অ্যাকাউন্ট। এ তথ্য অনেকের কাছেই অজানা রয়ে গেছে।

মা আর রাজনীতিতে ফিরবেন না

শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের পর বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসকে দেওয়া এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘দেশের জন্য কঠোর পরিশ্রম করা সত্ত্বেও সম্প্রতি যা যা ঘটল, তাতে মা খুবই হতাশ। তাই তিনি আর রাজনীতিতে ফিরবেন না’

আন্দোলনের একমাত্র মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান

১২ অক্টোবর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনের একমাত্র মাস্টারমাইন্ড হচ্ছেন তারেক রহমান। কার্যকর আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য যা করা দরকার সবই করেছেন তিনি।’

কাদের সাহেব কোথায় গেলেন, আমার বাসায় আসেন

ঠাকুরগাঁওয়ে আয়োজিত এক জনসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে ওবায়দুল কাদেরকে কটাক্ষ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘উনি বলতেন পালাব না, কিন্তু উনি এখন কোথায়? উনি মাঝখানে আমাকে বিদ্রুপ করে বলেছিলেন, ‘পালাব না, যদি পালাতেও হয় দেশের বাইরে যাব না।’ এমনকি নাম ধরে বলেছিলেন, ‘ফখরুল, আপনি কি আপনার বাসায় আমাকে জায়গা দেবেন না?’ এখন আমি ওবায়দুল কাদেরকে বলতে চাই—আসেন, আমার বাসায় আসেন।’

আমি দেশের কাছাকাছি আছি, চট করে ঢুকে যেতে পারি

ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর শেখ হাসিনার একাধিক কল রেকর্ড ফাঁস হয়, যা দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করে। একটি ফোনালাপে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা তানভীরের সঙ্গে কথা বলার সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দেশের খুব কাছাকাছি আছি। যাতে আমি চট করে ঢুকে পড়তে পারি।’

ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে এখন দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে

শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যে, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘ছাত্র-জনতার ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে গিয়ে এখন দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে।’ তার এই মন্তব্য দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

নারীদের পোশাক নিয়ে বাধ্য করবে না জামায়াত

সাতক্ষীরায় এক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয় যে, আমরা ক্ষমতায় এলে নারীদের ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হবে না। কিন্তু কথা দিচ্ছি, এমন কিছু হবে না। তাদের পোশাক নিয়ে আমরা কোনো বাধ্যবাধকতা তৈরি করব না। তারা ইচ্ছামতো পোশাক পরতে পারবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করার চেষ্টা করছে রাজনৈতিক দলগুলো

ব্রিটিশ গ্লোবাল পার্টনার্স গভর্ন্যান্স (জিপিজি)–এর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো চাচ্ছে তাদের অধীনে সংস্কার হোক। তাই তারা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। তারা সংস্কারের পরিবর্তে নির্বাচনকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে।’

৫ আগস্টের মতো আবারও রাস্তায় নামতে হবে

ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় জনগণকে আবারও আন্দোলনে নামার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘দেশ, মাটি ও মানুষের জন্য প্রয়োজন হলে আবারও ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে। আওয়ামী লীগের নৌকায় ফিরে যেতে না চাইলে ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ে ৫ আগস্টের মতো ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামতে হবে।’

৩১ দফা বাস্তবায়ন করে নির্যাতনের জবাব দেব

বিএনপির জনসভায় প্রধান অতিথীর বক্তব্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে বললে আমার ওপর নির্যাতন হয়েছে। আমর বাবাকে হত্যা করা হয়েছে, মাকে নির্যাতন করা হয়েছে। আমার ভাই তাদের অত্যাচারে মারা গেছে। আমরা এই নির্যাতনের জবাব জবাব ৩১ দফা সফল করার মাধ্যমে দেব।

পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক শক্তি দুটি, একটি সেনাবাহিনী আরেকটি জামায়াত

রংপুরের দলীয় এক পথসভায় জামায়েতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘দেশে পরীক্ষিত দুটি দেশপ্রেমিক শক্তি আছে; এর একটি সেনাবাহিনী, আরেকটি জামায়াতে ইসলামী।’

একটা নির্বাচন কিংবা ভোটের জন্য এত মানুষ জীবন দেয়নি

ঠাকুরগাঁওয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘এক দফা বাস্তবায়নের জায়গা থেকে আমরা মনে করি, সংস্কারের কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু একটা নির্বাচন কিংবা ভোটের জন্য এত এত মানুষ জীবন দেয়নি।’

এটি একান্তই প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্তের বিষয়

বাংলাদেশে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে নানা ধরনের বক্তব্য দেয়ায় রাজনৈতিক দল ও নেতাদের কাছ থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নির্বাচন নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার পরে তার ব্যাখ্যা দিয়ে আলোচনায় এসেছেন সেনাপ্রধান, সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ সরকারের একাধিক কর্তাব্যক্তিরা। তবে সেই কথার ব্যাখ্যায় প্রায় সবারই এক সুর ছিল, ‘এটি একান্তই প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্তের বিষয়’।

আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন

আওয়ামী লীগকে দল পুনর্গঠনের আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছিলেন, ‘আপনারা আপনাদের পার্টি রিঅর্গানাইজ করেন। এই পার্টির অনেক অবদান আছে বাংলাদেশে। এটা আমরা অস্বীকার করতে পারি না।’ এ নিয়ে তুলকালাম হয়ে যায়। এমনকি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পদ থেকে সাখাওয়াতকে সরিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যদিও পরবর্তীতে আরও কয়েকজন এমন কথা বলেছেন। এছাড়া ক্ষমা নিয়ে জামায়াত আমিরের একটি বক্তব্যও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। তার এ বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। কারও প্রতি কোনো প্রতিশোধ নেওয়া হবে না আশ্বস্ত করে শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। রাজনৈতিকভাবে আমাদের ওপর যারা জুলুম-নির্যাতন করেছে আমরা তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি। আমরা সংশোধন ও ক্ষমার রাজনীতিতে বিশ্বাসী।’  

আরও পড়ুন