শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১:১৭, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ২১:৩২, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি(জিএসটি) গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি থেকে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে আসতে চাইলেও ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরকে(ভিসি) জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সই করা একটি আধা সরকারি পত্রও পাঠানো হয়েছে।
সোমবার(২৩ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসিদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জরুরি নির্দেশনায় বলা হয়, উচ্চশিক্ষার উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীবান্ধব একটি কার্যক্রম হিসেবে গুচ্ছ পদ্ধতি বেশ আস্থাভাজন। এ পদ্ধতিতে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথকভাবে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের বাড়তি খরচ হ্রাস পেয়েছে। গুচ্ছ পদ্ধতির মাধ্যমে একটি মানসম্মত প্রশ্নপত্রের ভিত্তিতে মেধাভিত্তিক ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি অভিভাবকরা একাধিক ভর্তি পরীক্ষার দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়, গত ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় এ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব উদ্যোগে পৃথকভাবে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা করছে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থীদের এবং অভিভাবকদের জন্য তা বাড়তি আর্থিক ও মানসিক চাপ সৃষ্টি করবে এবং জনমনে শিক্ষা প্রশাসনের প্রতি নেতিবাচক ধারণা তৈরি করবে।
শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি ও খরচ হ্রাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল। এবার দুটি গুচ্ছ থেকে এ পর্যন্ত সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে গেছে। আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে। তবে গুচ্ছ ভর্তি বহাল রাখতে সরকারের কাছে শিক্ষার্থীরা আবেদন জানিয়েছিল। তারা এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চ্যান্সেলর ও প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিনকে স্মারকলিপিও দেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বেশ কয়েকবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসিদের এ বিষয়ে চিঠিও পাঠিয়েছে।
সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের পুনরায় গুচ্ছ পদ্ধতির সুফল মূল্যায়ন করে এ পদ্ধতি চালু রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে এ সংক্রান্ত একটি সভা করার পাশাপাশি গুচ্ছ পদ্ধতি বহাল রাখার বিষয়ে একটি পত্র জারি করা হয়েছে। এ অবস্থায় ভিসিদের নেতৃত্বে তার বিশ্ববিদ্যালয়টি যেন গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
গত শনিবার(১ ডিসেম্বর)শিক্ষা উপদেষ্টা একটি চিঠিতে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যবস্থা অনুসরণ করতে অনুরোধ জানান। এরপর ১০ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয় থেকে গুচ্ছ ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে আরেকটি চিঠি দেওয়া হয়।
এর আগে, বুধবার(২৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তিতে গুচ্ছ পদ্ধতির বিষয়ে জরুরি বৈঠক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বেশি এমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এবং তুলনামূলক নতুন প্রতিষ্ঠিত ও জনবল কম থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুচ্ছ পদ্ধতি রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। এতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।