ঢাকা, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

২২ মাঘ ১৪৩১, ০৬ শা'বান ১৪৪৬

শিরোনাম

Scroll
শুল্ক বাড়ানোর প্রতিবাদে সমুদ্র ও স্থলবন্দরে ফল খালাস বন্ধ
Scroll
জানুয়ারিতে সড়কে ঝরেছে ৬০৮ প্রাণ; রোড সেফটির প্রতিবেদন
Scroll
পুরোপুরি কার্যকর ১২ ব্যাংক, বাকিগুলো খুঁড়িয়ে চলছে: অর্থ উপদেষ্টা
Scroll
রাজনৈতিক দলগুলো সাফল্য চাইলেও সরকার সফল হতে পারছে না: মান্না
Scroll
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
Scroll
ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় নিহত প্রায় ৬২ হাজার
Scroll
দেনা আদায়ে সরকারকে চাপ বেসরকারি বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীদের, লোডশেডিংয়ের শঙ্কা
Scroll
বিশ্ব ইজতেমায় আরও এক মুসল্লির মৃত্যু
Scroll
ক্ষমতায় গেলে বিএনপি বিনামূল্যে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবে: খন্দকার মোশাররফ
Scroll
আগামীতে টঙ্গীতে ইজতেমা না করার শর্তে এবছর অনুমতি পেলেন সাদপন্থীরা; মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন
Scroll
ইউএসএআইডির প্রশাসক নিযুক্ত হলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও
Scroll
মেক্সিকো ও কানাডার ওপর শুল্ক স্থগিত করলেন ট্রাম্প, তবে চীনের ওপর নয়
Scroll
ঝাউদিয়া থানার দাবিতে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ
Scroll
সুদানে ভয়াবহ সংঘর্ষ, নিহত অন্তত ৬৫
Scroll
২০৫ ভারতীয়কে দেশে পাঠাল আমেরিকা
Scroll
বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কর্মকর্তার লকার ফ্রিজ করতে গভর্নরকে দুদকের চিঠি

সর্বস্ব খুইয়ে পেট্রোল পাম্পে কাজ নেন ঐশ্বরিয়ার সেই নায়ক

বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:৫৮, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ১৩:৩৬, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

সর্বস্ব খুইয়ে পেট্রোল পাম্পে কাজ নেন ঐশ্বরিয়ার সেই নায়ক

নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়টা ছিল তামিল চলচ্চিত্রের স্বর্ণালী যুগ। তামিল ছবির অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা আব্বাস পর্দা ভাগ করে নিয়েছিলেন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের সঙ্গেও। নানা রকমের উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে তাঁর কেরিয়ার। কেরিয়ারের শুরুতে বাজিমাত করলেও ভাগ্যের ফেরে হারিয়ে যান লাইমলাইট থেকে। এমনকি সব হারিয়ে পেট্রলপাম্পে কাজ নিয়েছিলেন তিনি। 

পশ্চিমবঙ্গে জন্ম নেওয়া মির্জা আব্বাস আলি ১৯৯৬ সালে তামিল চলচ্চিত্র ‘কাধাল দেশম’দিয়ে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন যা বাণিজ্যিক সাফল্য পায়। তখন আব্বাসকে ‘হার্টথ্রব’ বলে অভিহিত করেন অনেকেই। রাতারাতি স্টার হয়ে যান তিনি। ঝুলিতে আসে একের পর এক ছবির অফার। 

তেলুগু ভাষায় প্রিয়া ও প্রিয়া, রাজা এবং তামিল ভাষায় কান্নেঝুথি পোট্টুম থোট্টু, পাদায়াপ্পা, সুয়াম্বরম ছবির মাধ্যমে খুব কম সময়ের মধ্যে দর্শকের মনে জায়গা করে নেন আব্বাস। তাঁর অভিনয় দক্ষতা এবং পর্দায় উপস্থিতি নজর কাড়ে সবার। তিনি ঐশ্বর্য রাইয়ের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন। যা ছিল তাঁর কেরিয়ারের একটি বড় মাইলফলক। এই ছবিটি তামিল ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সফল ছবি হিসেবে বিবেচিত হয়। যা আব্বাসের মুকুটে যোগ করে নতুন পালক।

২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘অংশ’ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন তিনি কিন্তু সেটি বক্স অফিসে সাফল্য পায়নি। ২০০০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে আব্বাসকে তামিল চলচ্চিত্রের অন্যতম ভরসা যোগ্য অভিনেতা হিসাবে বিবেচনা করা হত। তবে ২০০৬ সালের দিকে আব্বাসের কেরিয়ার থমকে যায়।

হিন্দি সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনি বেশ কয়েকটি তামিল চলচ্চিত্র ছেড়েছিলেন। কিন্তু তার দুটি হিন্দি ছবি ‘অংশ’ ও ‘অউর ফির’ ব্যর্থ হয়। তিনি যে অন্যান্য ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন সেগুলোও শেষ পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায়। ফলস্বরূপ আচমকাই যেন আব্বাসের সোনালি কেরিয়ার বন্ধ হয়ে যায়। কাছের মানুষের পরামর্শের বিরুদ্ধে গিয়ে আব্বাস তামিল এবং তেলুগু চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রের কাজের অফর লুফে নেন তিনি। তার চেয়ে কম জনপ্রিয় অভিনেতাদের পাশে দ্বিতীয় হিরোর রোলও করেছেন সেই সময়। পরবর্তী কয়েক বছর ধরে আব্বাসকে তেলুগু চলচ্চিত্রে ক্যামিও এবং সহায়ক অভিনেতার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু আর সেই স্টারডম ফিরে পাননি।

২০১১ সালের পর ফিল্ম কেরিয়ারে পতনের বোঝা নিয়েই টেলিভিশন শোতে কাজ করেন। কয়েক বছর পর ইউটিউব চ্যানেল রেডনুলের সাথে কথা বলার সময় তিনি জানান, ওই সময় অভিনয় নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন এবং তাই সব ছেড়ে নিউজিল্যান্ডে চলে যান।

২০১৫ সাল নাগাদ আব্বাস নিউজিল্যান্ডে পৌঁছেছিলেন নতুন জীবন গড়ার আশা নিয়ে। তবে সমস্ত অর্থ নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার পর ছোটখাটো চাকরি করতে হয় একসময় দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি কাঁপানো এই তারকাকে।

রেডনুলিন ২০২২-এর সাথে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, একটি নির্মাণ সাইটে কাজ করা থেকে মেকানিক হিসাবে প্রশিক্ষণ নেওয়া এবং এমনকি বছরের পর বছর ধরে সেখানে একটি পেট্রোল পাম্পেও কাজ করেছেন তিনি। অবশেষে মোটিভেশনাল স্পিকার হয়ে ওঠেন আব্বাস। ২০২৩ সালে ভারতে ফিরে আবার অভিনয়ে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে এখনও নতুন কোনো প্রজেক্টে চুক্তিবদ্ধ হননি তিনি। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে চেন্নাইয়ে বাস করছেন তিনি।

আরও পড়ুন