শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬:১০, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
লালনসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন শ্বাসকষ্ট নিয়ে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল শনিবার ভোরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় বলে জানিয়েছেন তাঁর স্বামী যন্ত্রসংগীতশিল্পী গাজী আবদুল হাকিম।
তিনি জানান, ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থা ভালো খুব একটা ভালো নয়। তাকে এখন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে রাখা হয়েছে। তাঁর ফুসফুসে পানি জমেছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি জটিলতা রয়েছে।
ওই হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশীষ কুমার সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘তাঁর ফুসফুস আক্রান্ত, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং থাইরয়েডের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত কিছু সমস্যা আছে। বর্তমানে বক্ষব্যাধি, কিডনি এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে আছেন তিনি। শরীরিক অবস্থা বিবেচনায় তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তাকে ডায়ালাইসিস করতে হবে।’
ফরিদা পারভীন ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর ৩১, ১৯৫৪ নাটোর জেলার সিংড়া থানার শাঔঁল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম দেলোয়ার হোসেন মা রৌফা বেগম।
১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত গাইতে শুরু করেন ফরিদা পারভীন। ১৯৭৩ সালের দিকে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছে ফরিদা পারভীন লালনসংগীতে তালিম নেন। ফরিদা পারভীন যে শুধু লালনের গান গেয়েছেন তা নয়। তিনি একাধারে গেয়েছেন আধুনিক এবং দেশাত্মবোধক গান। ফরিদা পারভীনের গাওয়া আধুনিক, দেশাত্মবোধক কিংবা লালন সাঁইয়ের গান সমান ভাবেই জনপ্রিয়। তিনি ২০০৮ সালে ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচারাল পুরস্কার, ১৯৮৭ সালে একুশে পদক এবং চলচ্চিত্রের গানে সেরা কণ্ঠদানকারী হিসাবে ১৯৯৩ সালে জাতীয় পদক পেয়েছেন। সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস ও অনন্যা শীর্ষ দশ পুরস্কারও পেয়েছেন।