শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫১, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ১৮:৫৮, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দীর্ঘ ১৫ বছর বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারে গান গাইতে দেওয়া হয়নি জনপ্রিয় নজরুলসংগীত শিল্পী ফেরদৌস আরাকে। জানা যায়, বিএনপির সঙ্গে সখ্যতা থাকায় বিগত সরকারের রোষানলের শিকার হয়েছিলেন তিনি। ছিলেন কালো তালিকাভুক্ত। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটে।
আবারও বিটিভি ও বেতারের অনুষ্ঠানে ফিরেছেন তিনি। নজরুল ইনস্টিটিউটের সদস্যও নির্বাচিত হয়েছেন। এবার পেলেন রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এ বছর ১৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে একুশে পদকের জন্য মনোনীত করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হয়।
তালিকায় নিজের নাম দেখে ফেরদৌস আরা বলেন, ‘একুশে পদক পাওয়ায় আমি ভীষণ আনন্দিত। এই অনুভূতি সত্যিই প্রকাশের ভাষা নেই। আমার দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে যারা পাশে ছিলেন, শ্রোতা, ভক্ত, অনুরাগী এবং আমার পরিবারের সবার কাছেই কৃতজ্ঞতা জানাই। একজন শিল্পী হিসেবে এমন পুরস্কারে দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। সবার কাছে দোয়া চাই যেন সুস্থ থেকে গান করে যেতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘মানুষের ভালোবাসাটাই একজন শিল্পীর জন্য বড় পাওয়া। মানুষ ভালোবাসে বলেই গান গেয়ে যেতে পারছি। মাঝে কিছু অনুষ্ঠানে এমনও হয়েছে, মানুষ বাধভাঙা উচ্ছ্বাস নিয়ে আসছে শুধু দেখার জন্য। এমন পরিস্থিতি হয়েছে, তাদের জন্য তিনটি রাস্তার মোড় আটকে রাখতে হয়েছিল। এই যে মানুষের ভালোবাসা সেটা তো অ্যাওয়ার্ডে পাওয়া যায় না। তবে স্বীকৃতি শিল্পীসত্তার পূর্ণতা দেয়।’
প্রসঙ্গত, চার যুগেরও বেশি সময় ধরে সংগীতচর্চা করছেন ফেরদৌস আরা। দেশের প্রথিতযশা নজরুলসংগীত শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম তিনি। সব ধরনের গান গাইলেও নজরুলসংগীতের জন্য সমাদৃত এই শিল্পী।