শিরোনাম
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭:১৩, ১১ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ১৯:০৫, ১১ মার্চ ২০২৫
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আজ মঙ্গলবার (১১মার্চ) ঢাকার ৪র্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তারেক এজাজের আদালত খালাসের রায় দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইদুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আদালত পিয়াসাকে খালাস দিয়েছেন। বিশেষ কারণে এদিন তিনি আদালতে হাজির হননি। তার অনুপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে ২০২১ সালের ১ আগস্ট রাত ১০টায় রাজধানীর বারিধারায় মডেল পিয়াসার বাসায় অভিযান চালিয়ে বাসা থেকে ৭৮০ পিস ইয়াবা, ৮ বোতল বিদেশি মদ ও ৪ ক্যান বিয়ার জব্দ করে। গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে পিয়াসাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গুলশান থানায় মামলা করা হয়। ওই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মো. আব্দুল লতিফ তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগ জমা দেয়ার দুই বছর পর ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি পিয়াসার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
২০১৭ সালে পিয়াসা নামটি আলোচনায় এসেছিল। উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন করায় সে বছর তাকে তালাক দেন দেশের প্রথম সারির জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের ছেলে সাফাত হোসেন। এ নিয়ে সামাজিক মহলে আলোচিত হন তিনি। তবে খবরের পাতায় তার নাম আসে ২০১৯ সালে। সে বছর দিলদার আহমেদ সেলিম তার সাবেক পুত্রবধূর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। তার সেই সাবেক পুত্রবধূর নাম ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা। এই পিয়াসাই সেই পিয়াসা। চাঁদা দাবির অভিযোগে ২০১৯ সালের ৫ মার্চ পিয়াসার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন দিলদার আহমেদ। মামলার পর ঢাকার মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান পিয়াসা। মামলাটি জামিনযোগ্য হওয়ায় তাকে জামিন দেন আদালত।
মামলায় দিলদার আহমেদ সেলিম অভিযোগ করেছেন, পিয়াসা দিলদারপুত্র সাফাতকে ফাঁদে ফেলে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি বিয়ে করেন। পরে তারা জানতে পারেন যে পিয়াসা মাদকাসক্ত এবং উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপনে অভ্যস্ত। তাই ২০১৭ সালের ৮ মার্চ পিয়াসাকে তালাক দেন সাফাত। এরপর রাজধানীর রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পিয়াসার স্বামী সাফাত জড়িত ছিলেন। তখন আবার ঘুরে ফিরে পিয়াসার নামটি আলোচিত হয় সামাজিক মহলে।
এদিকে ২০১৯ সালের ১১ মার্চ দিলদারের বিরুদ্ধেও একটি মামলা করেন পিয়াসা। মামলায় অভিযোগ আনা হয়, দিলদার আহমেদ পিয়াসাকে গর্ভপাতের চেষ্টা, নির্যাতন, হত্যার হুমকি দিয়েছেন। তবে সে বছরের ১৭ জুলাই পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. মজিবুর রহমান আদালতে দেয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, পিয়াসার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে মোসারাত জাহান (মুনিয়া) নামে এক তরুণীর মরদেহ। ঘুরে ফিরে এখানেও আলোচনায় পিয়াসার নাম। এবার ওই তরুণীর বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে উঠে এসেছে পিয়াসার নাম। খালাস পেয়ে নতুন করে আলোচনা তৈরি করলো যেন পিয়াসা।