শিরোনাম
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬:৩২, ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৭:৩৯, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
তবে, মহারাষ্ট্র রাজ্যের কিছু সংগঠনের অভিযোগের মুখে পিছিয়ে দেওয়া হয় সিনেমাটির মুক্তির তারিখ। হিন্দু ধর্মের শাস্ত্রে উল্লেখিত বর্ণ সম্পর্কিত কিছু সংলাপ ও দৃশ্যে কাটছাঁটের নির্দেশ দিয়েছে সেন্সর বোর্ড।
হিন্দু সমাজে চার বর্ণের (ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র) মধ্যে ব্রাহ্মণদের মর্যাদা সবার ওপরে। বংশ পরম্পরায় তাঁদের শাস্ত্র জ্ঞানের ধারক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এদিকে, ফুলে দম্পতি এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। বিশেষত দলিতদের শিক্ষার অধিকার ও সামাজিক সমতার পক্ষে লড়েছেন তাঁরা। সেই গল্পই তুলে ধরা হয়েছে চলচ্চিত্রটিতে।
পরিচালক মহাদেবন অবশ্য দাবি করেছেন, সিনেমাটি কোনো সম্প্রদায়কে আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়, বরং ইতিহাসনির্ভর। তিনি বলেন, ‘ট্রেলার দেখার পর কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা শুধু ঐতিহাসিক তথ্যই দেখিয়েছি।’
সেন্সর বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইতিহাসবিদ ও সমাজকর্মীরা। তাঁদের মতে, জাতপাত সংক্রান্ত তথ্য ও সংলাপ বাদ দেওয়া মানে হলো ইতিহাসকে মুছে ফেলা এবং দলিতদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অস্বীকার করা।
সাবিত্রীবাই ফুলে ভারতের নারী অধিকার আন্দোলনের অগ্রদূত। ১৮৪৮ সালে স্বামী জ্যোতিরাও ফুলের সঙ্গে ভারতে প্রথম কন্যাশিশুদের জন্য স্কুল স্থাপন করেন তিনি।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমএইচ