ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

২৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৩ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম

Scroll
আছিয়ার দাফন সম্পন্ন, ধর্ষণে অভিযুক্তের বাড়িতে জনতার আগুন
Scroll
ঢাকায় পৌঁছেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস
Scroll
মাগুরার সেই শিশুর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সেনাবাহিনীর শোক প্রকাশ
Scroll
যমুনার আশপাশে সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত ও মিছিল নিষিদ্ধ: ডিএমপি
Scroll
ইউক্রেনীয় সেনাদের হটাতে কুরস্কে অভিযান শেষ পর্যায়ে: রাশিয়া
Scroll
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে
Scroll
আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে এখনো সংশয়ে আছে বিএনপি
Scroll
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে হরে-দরে সবাইকে ‘শাহবাগী’ বলা বন্ধ করার আহ্বান মাহফুজ আলমের
Scroll
ধর্ষণ মামলার বিচার শুধু দ্রুতই নয়, বিচারটা যাতে নিশ্চিত হয় এবং যথাযথ হয় সে লক্ষ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন কঠোর করা হচ্ছে: আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল

শুক্রবারের বাজার

সবজিতে স্বস্তি মিললেও বেড়েছে চাল-মুরগির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩:০৯, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১৭:৫৪, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪

সবজিতে স্বস্তি মিললেও বেড়েছে চাল-মুরগির দাম

দাম কমতে শুরু করেছে আলু, পেঁয়াজ ও সবজির। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ২০ টাকা ও আলুতে ১০ টাকা দাম কমেছে। এছাড়া যেকোনো সবজি প্রতি কেজিতে কমেছে ১০-২০ টাকা। অন্যদিকে, চাল ও মুরগির দাম খানিকটা বেড়েছে। খুচরা দোকানে বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ বাড়লেও পরিস্থিতি পুরো স্বাভাবিক হয়নি।

দাম কমেছে সবজির

সাপ্তাহিক ছুটির দিন আজ বাজারে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, প্রতি পিস বাঁধাকপি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি নতুন টমেটো বিক্রি হচ্ছে প্রতি ১৪০ টাকায়, মুলা প্রতি কেজি ৩০ টাকায়, লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, গাজর প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, গোল বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, পেঁয়াজ ফুল প্রতি আঁটি ২০ টাকায়, ঝিঙা প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, শালগম প্রতি কেজি ৫০ টাকায়, পটল প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, কাঁচা টমেটো প্রতি কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বরবটি প্রতি কেজি ১০০ টাকায়, করলা প্রতি কেজি ১০০ টাকায়, শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, শিম (বিচিওয়ালা) প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, শিম (সাধারণ) প্রতি কেজি ৫০ টাকায়, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, নতুন আলু প্রতি কেজি ৭০ টাকায়, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকায় এবং ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে যেগুলো ৭০/৮০ টাকা ছিল আজকের বাজারে সেই সবজিগুলো ৫০-৬০ টাকায় এসেছে। তবে এখনো কিছু কিছু সবজি ১০০ টাকার ঘরে রয়ে গেছে। আজকের বাজারে সবচেয়ে কম দামে সবজির মধ্যে রয়েছে মুলা, যা প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কেবল নতুন উঠতে শুরু করায় পাকা টমেটোর দাম কিছুটা বেশি যাচ্ছে, যা প্রতি কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আজকের বাজারের সবচেয়ে বেশি দামি সবজি নতুন এই টমেটো।

কমেছে পেঁয়াজের দামও

বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে; একই সঙ্গে পাতাসহ পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া নতুন আলুর সরবরাহও বেড়েছে। এসব কারণে আলু ও পেঁয়াজের দাম কমছে। বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে; একই সঙ্গে পাতাসহ পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া নতুন আলুর সরবরাহও বেড়েছে। এসব কারণে আলু ও পেঁয়াজের দাম কমছে। বিক্রেতারা জানান, সাধারণত নভেম্বরের শেষ দিকে মুড়িকাটা পেঁয়াজ এবং ডিসেম্বরের শুরুর দিকে আলু বাজারে আসতে শুরু করে। তবে চলতি বছর বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে আলু-পেঁয়াজের বীজ বুনতে দেরি করেন কৃষকেরা। এ কারণে বেশ কিছুদিন পণ্য দুটি বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছিল। এখন নতুন পেঁয়াজ ও আলু আসতে শুরু করায় এ দুই পণ্যের দাম কমছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে দেশি পুরোনো, স্থানীয় মুড়িকাটা এবং আমদানি করা-এই তিন ধরনের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে প্রতি কেজি পুরোনো দেশি পেঁয়াজ ৯০-১১০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুড়িকাটা পেঁয়াজের দাম আরও কম; এক কেজির দাম ৭০-৮০ টাকা। এ ছাড়া পাতাসহ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে। দুই সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ (পুরোনো) ১১০-১৩০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।

বাজারে রমরমা নতুন আলু

দুই সপ্তাহ আগে এক কেজি পুরোনো আলুর দাম ছিল ৮০ টাকা। নতুন আলুর সরবরাহ বাড়ায় দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বর্তমানে নতুন ও পুরোনো উভয় ধরনের আলু ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তেলে অস্থিরতা

সয়াবিনের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। লিটারে ৮ টাকা বাড়িয়ে সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। এরপর এগারো দিন চলে গেলেও বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও পাড়া মহল্লার দোকানের অধিকাংশে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি। আর খোলা সয়াবিন তেল নিয়ে এক প্রকারের নৈরাজ্য চলছে। ব্যবসায়ীরা খোলা সয়াবিন তেলের দাম ইচ্ছামতো রাখছেন। কোনো কোনো ব্যবসায়ী খোলা সয়াবিন তেল ২০০ টাকা কেজিতেও বিক্রি করছেন। আবার বোতলজাত তেলও সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, যেসব প্রতিষ্ঠান বোতলের সয়াবিন তেল বাজারে ছাড়ে তারা সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। দাম বাড়ানোর পরও তারা তেল সরবরাহ করছে না।

এত আগে বাজারে হঠাৎ করে বোতলজাত সয়াবিন তেল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে গত ৯ ডিসেম্বর সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৮ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এই দাম বাড়ানোর ফলে এখন বোতলের এক লিটার সয়াবিনের দাম নির্ধারিত হয়েছে ১৭৫ টাকা। আর খোলা সয়াবিনের দাম নির্ধারিত হয়েছে ১৫৭ টাকা।

তবে এ দামে হাতেগোনা কিছু বড় বড় দোকান ছাড়া তেল পাওয়া যাচ্ছে না। বেশিরভাগ দোকানেই বোতলজাত সয়াবিন তেল নেই। দু-একটি দোকানে সীমিত পরিসরে বোতলজাত সয়াবিন তেল থাকলেও দাম রাখা হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা পর্যন্ত।

বাড়তি দামেই মাছ-মাংস

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে স্থিতিশীল থাকলেও সব মাছের দাম যে ক্রেতার নাগালে সেটি বলা যাবে না। অন্যদিকে, আগের মতো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে খাসি, মুরগি ও গরুর মাংস। যা নিয়ে আক্ষেপ করছেন ক্রেতারা। প্রতি কেজি পাঙাস ২০০ টাকা, প্রতি কেজি রুই (ওজন অনুযায়ী) ৩০০-৩৬০ টাকা, কাতল ৩৬০ টাকা, পাবদা প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, চিংড়ি (আকার অনুযায়ী) ৭৫০-৮০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৪০ টাকা, টেংরা প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, কৈ মাছ প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, সরপুঁটি মাছ ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা ও চাপিলা মাছ ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। প্রতি পিস কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকায়। অন্যদিকে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা ও খাসির মাংস প্রতি কেজি ১১০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজার অস্থির

চালের বাজারে স্বস্তি ফেরাতে গত ২০ অক্টোবর এর ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ, রেগুলেটরি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ এবং আগাম কর ৫ শতাংশ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতেও দাম না কমায় গত ৩১ অক্টোবর চাল আমদানিতে শুল্ক পুরোপুরি তুলে নেয় সরকার। তবে এর কোনও প্রভাবই নেই বাজারে। আমনের এ ভরা মৌসুমে কমার বদলে উল্টো দফায় দফায় বাড়ছে চালের দাম। কিছুতেই বাজারের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। গত দুসপ্তাহে বস্তাপ্রতি চালের দাম বেড়ে গেছে ২০০-২৫০ টাকা পর্যন্ত।

চিকন চালের দাম কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা এবং মোটা ও মাঝারি চালের দাম ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৭২-৭৫ টাকা, আটাইশ ৬০-৬২ টাকা, মোটা স্বর্ণা ৫২-৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকায়।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন