ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

২৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৩ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম

Scroll
আছিয়ার দাফন সম্পন্ন, ধর্ষণে অভিযুক্তের বাড়িতে জনতার আগুন
Scroll
ঢাকায় পৌঁছেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস
Scroll
মাগুরার সেই শিশুর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সেনাবাহিনীর শোক প্রকাশ
Scroll
যমুনার আশপাশে সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত ও মিছিল নিষিদ্ধ: ডিএমপি
Scroll
ইউক্রেনীয় সেনাদের হটাতে কুরস্কে অভিযান শেষ পর্যায়ে: রাশিয়া
Scroll
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে
Scroll
আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে এখনো সংশয়ে আছে বিএনপি
Scroll
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে হরে-দরে সবাইকে ‘শাহবাগী’ বলা বন্ধ করার আহ্বান মাহফুজ আলমের
Scroll
ধর্ষণ মামলার বিচার শুধু দ্রুতই নয়, বিচারটা যাতে নিশ্চিত হয় এবং যথাযথ হয় সে লক্ষ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন কঠোর করা হচ্ছে: আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল

পুঁজিবাজারের প্লেয়ার ও রেগুলেটরের অনেক দোষ আছে: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থনীতি ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯:২৪, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১৯:৪৭, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

পুঁজিবাজারের প্লেয়ার ও রেগুলেটরের অনেক দোষ আছে: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

পুঁজিবাজারের প্লেয়ার ও রেগুলেটরের অনেক দোষ আছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের মতো পুঁজিবাজারের অবস্থাও একই রকমের। তাদের অনেক দোষ আছে। আমি মনে করি এটা প্রচার করা দরকার।’

শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’র ৬ষ্ঠ সংস্করণের প্রকাশনা উৎসবে এসব বলেন তিনি। ‘আপনারা জেড ক্যাটাগরির শেয়ার কিনছেন, যার কোনও অস্তিত্ব নেই। আবার শেয়ার প্রাইস কমে গেলেই আন্দোলন করেন, আমি এর পক্ষে নই বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

এসময় তিনি বলেন, ‘জেড ক্যাটাগরির শেয়ারের নূন্যতম কোনো মূল্য নেই, এগুলো কয়েকদিন পরই ওয়েস্ট পেপার হিসেবে ব্যবহার হবে। এজন্য একটু কষ্ট করতে হবে। আমি বিনিয়োগকারীদের দায়ী করছি না।’

বিগত ১৫ বছরের তথ্য বিভ্রাট নিয়ে ‘বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি’ হতে হয় উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘টের পাচ্ছি’, কিসের মধ্য দিয়ে গত ১৫ বছর…। মূল্যস্ফীতি, জিপিডি নিয়ে তথ্য বিভ্রাটের পেছনে অনিচ্ছাকৃত কিছুটা ভুল রয়েছে আবার নীতি নির্ধারকরাও তথ্য লুকানোর চেষ্টা করেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

এসময় ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে বারবার সুদের হার বাড়ানো হলেও সুফল মিলছে না নিত্যপণ্যের বাজারে; চড়তে থাকা মূল্যস্ফীতি নভেম্বরে আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশে।’

আগের মাসেও এই হার ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তার মানে ২০২৩ সালের নভেম্বরে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় মিলেছে, তা এ বছরের নভেম্বরে কিনতে ব্যয় করতে হয়েছে ১১১ টাকা ৩৮ পয়সা।

ব্যাংকিং অ্যালমানাকের চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ সচিব মো. খায়রুজ্জামান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার।

এসময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সিকদার, এবিবির সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, গ্রন্থটির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সৈয়দ জিয়া উদ্দিন আহমেদ, আব্দার রহমান প্রমুখ।

অর্থ সচিব ড. খায়রুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘আমরা সেক্টরগুলোতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা চাই। যাতে বিশৃঙ্খলা না হয়। আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন বোর্ডে পরিবর্তন এনেছি।’

এদিন অর্থনীতিতে পাঁচটি বড় চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরানোর কাজ চলছে এবং সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতাও সন্তোষজনক পর্যায়ে। যথাযথ পদক্ষেপ নিলে অন্য তিনটির ক্ষেত্রেও ২০২৫ সালের মধ্যে ইতিবাচক কিছু দেখা যাবে।’

এই দুটির সঙ্গে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি ও বিশেষ সুবিধাভোগী ব্যবসায়িক শ্রেণির (অলিগার্ক) প্রভাব কমানো-এই পাঁচটিকে অর্থনীতির বড় চ্যালেঞ্জ বলে চিহ্নিত করেছেন হোসেন জিল্লুর রহমান।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন