শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭:২৪, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ ২৫ কর্মকর্তার সেফ ডিপোজিট লকারে কিছুই খুঁজে পায়নি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)।
আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) লকারগুলোতে অভিযান শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জমান। তিনি বলেন, ‘যেই ২৫ জনের অভিযোগের ভিত্তিতে এসেছিলাম, তাদের নামে কোনো লকার নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আরও অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। আদালতের অনুমোদনের ভিত্তিতে পরবর্তী অভিযানে আসবে দুদক।’
কাজী সায়েমুজ্জমান বলেন, ‘এই অভিযোগ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারাই। অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের অনেকেই এখনও বাংলাদেশ ব্যাংকে বহাল এবং অনেকেই সাবেক কর্মকর্তা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের খুলনা, বরিশাল ও ঢাকাসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক কর্মরত। ২৭২ টি সেফ ডিপোজিট লকারের সন্ধান পাওয়া যায়।’
এর আগে আজ বেলা সাড়ে ১২টায় দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জমানের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি টিম বাংলাদেশ ব্যাংকে লকারে তল্লাশি চালাতে আসে। আদালতের অনুমতির পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান চালানে হয়।
গত ২৬ জানুয়ারি দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের লকারে তল্লাশি করে প্রায় ৫ কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পেয়েছে। এগুলো এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
অভিযানের সময় দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নামে আরও কিছু লকার দেখতে পায়। এর মধ্যে যাদের নামে বর্তমানে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলছে তাদের নামেও লকার থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ কারণে দুদক ওইসব লকারেও তল্লাশি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ ফেব্রুয়ারি দুদক থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়ে কেউ যাতে ওইসব লকার খুলতে না পারে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেছে। এরপর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল শাখার লকার আর কাউকে খুলতে দেওয়া হচ্ছে না।