ঢাকা, মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫

২৪ চৈত্র ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম

Scroll
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের অব্যাহত গণহত্যায় বাংলাদেশের নিন্দা
Scroll
পাল্টা শুল্ক তিন মাস স্থগিতের অনুরোধ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
Scroll
প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেলেন বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী
Scroll
গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্ষোভ
Scroll
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ অঙ্গরাজ্যেই ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ
Scroll
সপ্তাহের প্রথম দিনেই এশিয়ার শেয়ারবাজারে বড় ধস, কমেছে তেলের দাম
Scroll
রপ্তানিকারকদের উদ্বেগ: যুক্তরাষ্ট্রের ক্রয়াদেশ স্থগিত হওয়া শুরু
Scroll
ঢাকায় ৪ দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলন আজ শুরু
Scroll
গাজায় সাংবাদিকদের তাঁবুতে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ২
Scroll
রাজশাহীতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে ৩ জন নিহত, আহত ৪০

৬০ টাকায় ভারতীয় শাড়ি, ৬৫ টাকায় পাকিস্তানি পাঞ্জাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:০৯, ২৫ মার্চ ২০২৫

৬০ টাকায় ভারতীয় শাড়ি, ৬৫ টাকায় পাকিস্তানি পাঞ্জাবি

আপনি জানলে অবাক হবেন, উন্নত মানের ভারতীয় থ্রি-পিস নাকি বাংলাদেশে আসে ৪৮ টাকায়। সাধারণ মানের থ্রি-পিসের দাম আরও কম। মাত্র ৪০ টাকা। শুধু সালোয়ার-কামিজের দাম ১৮ টাকা। মেয়েদের ‘টপস’ ১১ টাকা। উন্নত মানের ভারতীয় শাড়ি নাকি আসছে ৬০ টাকায়। মেয়েদের সবচেয়ে দামি পোশাক হলো লেহেঙ্গা। সেটা মাত্র ১০৫ টাকায় আসছে। ‘গর্জিয়াস’ লেহেঙ্গার দাম একটু বেশি, ১২০ টাকা।

অন্যদিকে পাকিস্তানের পাঞ্জাবির দাম মাত্র ৬৫ টাকা। শিশুদের পাঞ্জাবির দর বড়দের অর্ধেক, প্রতি পিস ২৯ টাকা, অবশ্য তা ভারতীয় পাঞ্জাবি।

ভারত-পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এই দরে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা পোশাক আমদানি করেছেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্যভান্ডারে আমদানির এমন চিত্র মিলেছে। কম মূল্য পোশাক আমদানি নিয়ে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের এক প্রতিবেদনের পর এই বিষয় আলোচনায় এসেছে। এসব পোশাক আনা হয়েছে ঈদের বাজারে বেচাকেনার জন্য।

তবে বাজারে এসব পোশাক কিনতে হলে অন্তত ১০০ গুণের বেশি দাম গুণতে হবে ক্রেতাদের। পাকিস্তানের সাধারণ থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকায়। উন্নত মানের থ্রি-পিসের দাম ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা। 

এই দর অবিশ্বাস্য কাস্টমস কর্মকর্তাদের কাছেই। এ জন্য ঢাকা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ৬১০ টাকা মূল্য ধরে শুল্কায়ন করেছে। তাতে প্রতি পিসে ৬২২ টাকা শুল্ক–কর আদায় করেছে কাস্টমস। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি এক থেকে দুই ডলারে মেয়েদের থ্রি-পিস আমদানি করেছে প্রায় ৭০ হাজার পিস।

পোশাকের মূল্যের এত কম দরের নেপথ্যের কারণ আমদানিতে উচ্চশুল্ক। এই শুল্ক ফাঁকি দিতে পোশাকের দরের এমন তথ্যের সপক্ষে রপ্তানিকারকের ‘সনদ’ বা ইনভয়েসও রয়েছে আমদানিকারকদের। আমদানি-রপ্তানিকারক, এই দুই পক্ষের এমন বোঝাপড়ার সনদ সবাই বিশ্বাস করলেও কাস্টমস কর্মকর্তারা করেননি। আমদানিকারকদের ফাঁকির বিষয়টি তাঁরা অবগত। এ জন্য অনেক ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১২ গুণ বেশি দাম ধরে শুল্কায়ন করছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন