শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬:৪৭, ২ ডিসেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১৮:২৩, ২ ডিসেম্বর ২০২৪
এই বছর চিকনগুনিয়ায় ৬৭ জন এবং জিকা ভাইরাসে ১১ জন আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। ডেঙ্গু ভাইরাসের জন্য দায়ী এডিস মশার মাধ্যমেই এই রোগ দুটি ছড়িয়ে থাকে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরে ডেঙ্গু বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. হালিমুর রশিদ এ তথ্য জানান।
এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, ‘জিকা ও চিকনগুনিয়া নিয়ে অনেক বেশি দুশ্চিন্তার কারণ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘জিকা ভাইরাসে আক্রান্তদের ৯০ শতাংশর ক্ষেত্রেই কোনও লক্ষণই দেখা দেয় না। এছাড়া এই রোগে মৃত্যুর হার শূন্য। তবে এ বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।’
এ সময় মহাপরিচালক জানিয়েছেন জিকা ও চিকুনগুনিয়া আক্রান্তের অধিকাংশ ‘ঢাকার বাসিন্দা’।
এ বছর বেসরকারি হাসপাতালেও চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতালগুলো। নভেম্বরের প্রথম ২৭ দিনে বেসরকারি স্কয়ার হাসপাতালে ৩১৪ জন রোগী চিকুনগুনিয়ার চিকিৎসা নিয়েছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও বলছেন, তাদের চেম্বারে চিকুনগুনিয়ার লক্ষণ-উপসর্গ নিয়ে রোগীরা আসছেন।
স্বাস্থ্য অধিধপ্তরের তথ্য বলছে, এ বছর ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ৯২ হাজার ৩৫১ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এই রোগে। গত নভেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত্যু বেশি হওয়ার কারণ সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, ‘ডেঙ্গু আক্রান্তদের হাসপাতালে নিতে দেরি করায় মৃত্যু বেশি। এ কারণে যাদের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন তাদের দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। ঢাকায় যারা মারা গিয়েছেন তাদের মধ্যে ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী বেশি। শিশু ও বয়স্কদের মৃত্যুহার বেশি চট্টগ্রামে।’