ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

২৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৩ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম

Scroll
আছিয়ার দাফন সম্পন্ন, ধর্ষণে অভিযুক্তের বাড়িতে জনতার আগুন
Scroll
ঢাকায় পৌঁছেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস
Scroll
মাগুরার সেই শিশুর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সেনাবাহিনীর শোক প্রকাশ
Scroll
যমুনার আশপাশে সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত ও মিছিল নিষিদ্ধ: ডিএমপি
Scroll
ইউক্রেনীয় সেনাদের হটাতে কুরস্কে অভিযান শেষ পর্যায়ে: রাশিয়া
Scroll
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে
Scroll
আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে এখনো সংশয়ে আছে বিএনপি
Scroll
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে হরে-দরে সবাইকে ‘শাহবাগী’ বলা বন্ধ করার আহ্বান মাহফুজ আলমের
Scroll
ধর্ষণ মামলার বিচার শুধু দ্রুতই নয়, বিচারটা যাতে নিশ্চিত হয় এবং যথাযথ হয় সে লক্ষ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন কঠোর করা হচ্ছে: আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল

স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারে অগ্রাধিকার প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা

স্বাস্থ্য ডেস্ক

প্রকাশ: ২০:০৫, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ২০:১৮, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারে অগ্রাধিকার প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা

স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারে সর্বজনীন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় অগ্রাধিকারের পাশাপাশি মাধ্যমিক ও জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ‘ইউএইচসি’ (ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজ) ডে ২০২৪’ উপলক্ষে ইউএইচসি  ফোরাম ও ব্র্যাক যৌথভাবে এই সংলাপের আয়োজন করে।

স্বাস্থ্য খাতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের পদক্ষেপ নির্ধারণ এবং মাঠ পর্যায়ের বাস্তবতার আলোকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ চিহ্নিত করার উদ্দেশে ‘রিফর্ম পাথওয়েজ ফর হেলথ সেক্টর’ শীর্ষক নীতিনির্ধারণী সংলাপ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

ব্র্যাক সেন্টার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংলাপে বক্তারা বলেছেন, সরকারি হাসপাতালগুলোকে আর্থিক স্বায়ত্তশাসন দেওয়া প্রয়োজন-যাতে তারা জনবল ও বেতন-ভাতাসহ সব বিষয় সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারে। নিজস্ব তহবিল থেকে চিকিৎসা খরচ যোগানো সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এটি কমিয়ে আনার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। স্বাস্থ্য খাতের সামগ্রিক অগ্রগতির জন্য এনজিও, বেসরকারি সংস্থা এবং সামাজিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি দিয়ে একই ছাতার নিচে সমন্বিতভাবে কাজ করা প্রয়োজন। সর্বোপরি সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবাকে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে।

আলোচনায় নীতিনির্ধারক, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সমাজ, উন্নয়ন সহযোগী ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা দেশের স্বাস্থ্য খাতের বর্তমান অবস্থা এবং বাস্তবায়নযোগ্য সংস্কার পরিকল্পনাগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইউএইচসি ফোরামের আহ্বায়ক এবং ব্র্যাকের চেয়ারপারসন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব হেলথ ইকোনমিকসের অধ্যাপক ও স্বাস্থ্য সংস্কার জোটের আহ্বায়ক ড. সৈয়দ এ হামিদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. লিয়াকত আলী, ডা. নায়লা জেড খান এবং ব্র্যাকের স্বাস্থ্য কর্মসূচি এবং মানবিক সংকট ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির ঊর্ধ্বতন পরিচালক ড. মো. আকরামুল ইসলাম প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য খাতে এনজিও এবং বেসরকারি সংস্থার অবদানগুলোর স্বীকৃতি দিতে হবে এবং তাদেরকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে হবে যেন সববিষয়গুলো সমন্বিত ভাবে করা যায়। 

চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী বলেন, দারিদ্র্যতা হ্রাস, কর্মসংস্থানের সুযোগ এবং জলবায়ু সহনশীলতার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য খাত ভূমিকা রাখতে পারে। 

স্বাস্থ্য খাতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের পদক্ষেপ নির্ধারণ এবং মাঠ পর্যায়ের বাস্তবতার আলোকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ চিহ্নিত করার উদ্দেশে ‘রিফর্ম পাথওয়েজ ফর হেলথ সেক্টর’ শীর্ষক নীতিনির্ধারণী সংলাপ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। তবে মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরে অর্থবহ পরিবর্তনের জন্য প্রায়শই বাইরে থেকে একটি ‘পুশ’ (ধাক্কা) প্রয়োজন হয়। এটি নাগরিক সমাজ, স্বাস্থ্য খাত বিশেষজ্ঞ, এনজিও এবং অন্য অংশীদারদের কাছ থেকে আসতে পারে।

আরও পড়ুন