শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭:০৭, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১৭:১৭, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
রাতভর ব্যাপক বিমান হামলা, আক্রমন আর পাল্টা আক্রমণের পর অবশেষে হামা শহর থেকে পিছু হটল সিরিয়ার বিদ্রোহীরা। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিদ্রোহী ও সরকারি উভয় পক্ষের বরাতে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ও মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা, সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের দাবি, শহরের প্রধান সড়কের ওপর কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে হামা শহরের ৫ কিলোমিটার উত্তর পূর্বে জাবাল জাইন আল-আবিদিন এলাকায় দুপক্ষের তীব্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বিদ্রোহী কমান্ডার আবু আল-কাকা বলেছেন,‘ব্যাপক বিমান হামলার কারণে আমরা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছি। বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে আরেক ব্যক্তি জানান, জাবাল জাইন আল-আবিদিন দখলে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত হয়েছে।’
উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের দুই বাসিন্দা জানান, বিমান হামলার মুখে এবং সরকারপন্থি অভিযানের দরুণ ফিরে আসা পরিবারগুলো আবারও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ভুগছে।
বাশারের মিত্র রাশিয়া একে 'সন্ত্রাসী আগ্রাসন' আখ্যা দিয়ে দ্রুত এর অবসান দাবি করেছে। ইরানের সমর্থিত ইরাকি যোদ্ধারা আসাদের পক্ষে লড়াই করতে সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে। অন্যদিকে, আসাদ সরকার নতুন করে সেনাবাহিনীতে সদস্য নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। দামেস্ক ও পূর্ব দেইর আল-জোরে চেকপয়েন্ট স্থাপন করে তরুণদের সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
হামার ফ্রন্টলাইনে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়ারা সরকারি বাহিনীকে সহায়তা করছে। বিদ্রোহী ও সরকারি সূত্রে জানা গেছে, আলেপ্পো হারানোর পর সেখানে সেনাবাহিনী পুনরায় সংগঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম মঙ্গলবার জানায়, নতুন সেনা বহর সেখানে পৌঁছেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও উদ্ধারকর্মীরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, গত কয়েক দিনে রাশিয়া ও আসাদের সরকারি বাহিনী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে বোমা বর্ষণ বাড়িয়েছে। আলেপ্পো ও ইদলিবের আবাসিক এলাকা এবং চিকিৎসা কেন্দ্রগুলো হামলার মূল লক্ষ্যবস্তু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে বিদ্রোহীরা সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পো ও এর আশপাশের বেশিরভাগ এলাকা দখল করে দ্রুত অগ্রসর হয়। মঙ্গলবার হামা শহরটিতে বিদ্রোহীরা অগ্রসর হলে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ শঙ্কা প্রকাশ করে।
২০২০ সালে রাশিয়া, ইরান ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার আগেই সিরিয়ার লক্ষাধিক মানুষ নিহত ও লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। সিরিয়ায় ২০১১ সাল থেকে সংঘাতের শুরু হয়ে পরে তা পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ায় বর্তমানে তা আরও অস্থিতিশীলতা তৈরী করছে।