ঢাকা, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

২২ মাঘ ১৪৩১, ০৬ শা'বান ১৪৪৬

শিরোনাম

Scroll
শুল্ক বাড়ানোর প্রতিবাদে সমুদ্র ও স্থলবন্দরে ফল খালাস বন্ধ
Scroll
জানুয়ারিতে সড়কে ঝরেছে ৬০৮ প্রাণ; রোড সেফটির প্রতিবেদন
Scroll
পুরোপুরি কার্যকর ১২ ব্যাংক, বাকিগুলো খুঁড়িয়ে চলছে: অর্থ উপদেষ্টা
Scroll
রাজনৈতিক দলগুলো সাফল্য চাইলেও সরকার সফল হতে পারছে না: মান্না
Scroll
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
Scroll
ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় নিহত প্রায় ৬২ হাজার
Scroll
দেনা আদায়ে সরকারকে চাপ বেসরকারি বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীদের, লোডশেডিংয়ের শঙ্কা
Scroll
বিশ্ব ইজতেমায় আরও এক মুসল্লির মৃত্যু
Scroll
ক্ষমতায় গেলে বিএনপি বিনামূল্যে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবে: খন্দকার মোশাররফ
Scroll
আগামীতে টঙ্গীতে ইজতেমা না করার শর্তে এবছর অনুমতি পেলেন সাদপন্থীরা; মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন
Scroll
ইউএসএআইডির প্রশাসক নিযুক্ত হলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও
Scroll
মেক্সিকো ও কানাডার ওপর শুল্ক স্থগিত করলেন ট্রাম্প, তবে চীনের ওপর নয়
Scroll
ঝাউদিয়া থানার দাবিতে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ
Scroll
সুদানে ভয়াবহ সংঘর্ষ, নিহত অন্তত ৬৫
Scroll
২০৫ ভারতীয়কে দেশে পাঠাল আমেরিকা
Scroll
বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কর্মকর্তার লকার ফ্রিজ করতে গভর্নরকে দুদকের চিঠি

যে কারণে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ছবি সরিয়েছে ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫:১৯, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ১৫:২১, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫

যে কারণে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ছবি সরিয়েছে ভারত

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। ওই দিন বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণের ঐতিহাসিক দলিলে সই করেছিলেন পাকিস্তানি বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমীর আবদুল্লাহ নিয়াজী, মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী ও মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জামশেদ।

যৌথবাহিনীর পক্ষে ছিলেন মেজর জেনারেল জেএফআর জ্যাকব, মেজর জেনারেল গন্ধর্ভ সিং নাগরা ও কাদেরিয়া বাহিনীর কমান্ডার কাদের সিদ্দিকী। দলিলে পাকিস্তানি নৌ-পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের কমান্ডার রিয়ার-অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শরিফ, পাকিস্তান বিমানবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় বিমান বাহিনীর কমান্ডার এয়ার ভাইস-মার্শাল প্যাট্রিক ডেসমন্ড কালাঘানও সই করেন। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের দলিলে সই করার মুহূর্তের সেই বিখ্যাত ছবিটি এতদিন পর্যন্ত ভারতের সেনাপ্রধানের কার্যালয়ে ছিল। তবে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর ছবিটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সেখানে স্থাপন করা হয়েছে নতুন আরেকটি চিত্রকর্ম।

ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পণের ছবিটি সরিয়ে ফেলার প্রায় এক মাস পর এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। গতকাল মঙ্গলবার উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, ‘ভারতের গৌরবময় ইতিহাসের তিনটি অধ্যায় রয়েছে। এগুলো হচ্ছে ব্রিটিশ যুগ, মুঘল যুগ এবং তার আগের সময়। সশস্ত্র বাহিনীর দর্শনের সঙ্গে ঐতিহাসিক সংযোগ তৈরি করতে আগের ছবিটি সরানো হয়েছে।’ আগের ছবির জায়গায় নতুন যে চিত্রকর্ম প্রতিস্থাপন করা হয়েছে তার নাম ‘ফিল্ড অব ডিডস’ বা ‘করম ক্ষেত্র’। এর অর্থ হচ্ছে ‘কর্মক্ষেত্র’।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন চিত্রকর্মটি ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে। চিত্রকর্মটিতে সশস্ত্র বাহিনীকে ধর্মের রক্ষক, জাতির মূল্যবোধের রক্ষক এবং প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত একটি একীভূত বাহিনী হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।নতুন এই চিত্রকর্মটি এঁকেছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ২৮ মাদ্রাজ রেজিমেন্টের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল থমাস জ্যাকব।

চিত্রটির ব্যাকগ্রাউন্ডে তুষারে ঢাকা পাহাড়, ডান দিকে লাদাখের প্যাংগং লেক এবং বাঁ দিকে (হিন্দু পুরাণে উল্লেখিত পক্ষীশ্রেষ্ঠ ও বিষ্ণুর বাহন)  কৃষ্ণের রথ এবং মধ্যখানে রণকৌশলের দিকপাল চাণক্যের (রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিষয়ে প্রাচীন ভারতের এক দিকপাল) সরব উপস্থিতি রয়েছে। পাশাপাশি, আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম যেমন ট্যাংক, অল-টেরেইন ভেহিকল, পেট্রল বোট, দেশীয় লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার এবং অ্যাপাচি অ্যাটাক হেলিকপ্টারের চিত্রও প্রদর্শিত হয়েছে।

ভারতের সেনাপ্রধান বলেন, ‘নতুন চিত্রকর্মটি বর্তমান বাস্তবতাকে বিবেচনায় নিয়ে আঁকা হয়েছে। বিশেষত ভারতের উত্তর দিক (চীন) থেকে আসা চ্যালেঞ্জের জন্য সেনাবাহিনীর প্রস্তুতির প্রতিফলন এটি। ১৯৭১ সালের আত্মসমর্পণের ছবিটি একেবারে সরিয়ে ফেলা হয়নি। সেনাপ্রধানের দুটি লাউঞ্জ রয়েছে। অপর লাউঞ্জ, যেটি মানেকশ সেন্টার নামে পরিচিত, সেখানে ছবিটি রাখা হয়েছে।’

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের ঐতিহাসিক ছবিতে দেখা যায়, পাকিস্তানের লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ কে নিয়াজি আত্মসমর্পণের দলিলে সই করছেন। তার পাশে বসা ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান ও বাংলাদেশ–ভারত যৌথ বাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা। তাদের পেছনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বাংলাদেশের কমান্ডার এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার, ভাইস অ্যাডমিরাল কৃষ্ণন, এয়ার মার্শাল দেওয়ান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্বাগত সিং এবং মেজর জেনারেল জে এফ আর জ্যাকব।

আরও পড়ুন