শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১২, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ১৪:৩০, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রায় সব বিদেশি সহায়তা কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। নিজের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ (যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সবার আগে) নীতি কার্যকর করার অংশ হিসেবে তিনি এ উদ্যোগ নেন। এতে তাৎক্ষণিকভাবে দেশটির কোটি কোটি ডলারের বৈশ্বিক সহায়তা প্রদান স্থগিত হয়ে গেছে। ওয়াশিংটন ২০২৩ সালে প্রায় ১৮০টি দেশে ৭২ বিলিয়ন (৭ হাজার ২০০ কোটি) ডলারের সহায়তা বিতরণ করেছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানের মতো যেসব জায়গার মানুষেরা চরম দুর্ভিক্ষ ও ক্ষুধার সঙ্গে লড়ছেন, তাঁদের জন্য জরুরি খাদ্যসহায়তা কার্যক্রমকে স্থগিতাদেশের বাইরে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েল ও মিসরকে দেওয়া সামরিক সহায়তাও ঘোষণার বাইরে আছে।
কোন দেশে কত সহায়তা
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ২০২৩ সালে দেওয়া বিদেশি সহায়তা তহবিলের খতিয়ানে দেখা যায়, বড় অংশই অর্থনৈতিক সহায়তা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। এর পরিমাণ প্রায় ৫৯ দশমিক ৯ বিলিয়ন (প্রায় ৫ হাজার ৯৯০ কোটি) ডলার। এর মধ্যে ইউক্রেন একাই প্রায় ১৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন (১ হাজার ৪৪০ কোটি) ডলারের সহায়তা পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির কাছ থেকে।
ইউক্রেনের পর সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক সহায়তা পেয়েছে জর্ডান। ইউএসএআইডির মাধ্যমে পাওয়া এই সহায়তার পরিমাণ প্রায় ৭৭০ মিলিয়ন (৭৭ কোটি) ডলার। ইয়েমেন সহায়তা পেয়েছে ৩৫৯ দশমিক ৯ মিলিয়ন (৩৫ কোটি ৯৯ লাখ) ডলারের। আফগানিস্তানের জুটেছে ৩৩২ মিলিয়ন (৩৩ কোটি ২০ লাখ) ডলারের সহায়তা।
এসব সহায়তার পাশাপাশি একই বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন বিভিন্ন মিত্র দেশকে ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন (৮২০ কোটি) ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে। এর প্রায় অর্ধেকই পেয়েছে ইসরায়েল ও মিসর।
ইসরায়েল–মিসর কত পেয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন ২০২৮ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ইসরায়েলকে ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন (৩৮০ কোটি) ডলার করে সামরিক সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে ইসরায়েলের সঙ্গে সই করা এক সমঝোতা স্মারকে এ প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে ওয়াশিংটন। এ সামরিক সহায়তার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের গাজায় ভয়ংকর যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার পর ইসরায়েলকে আরও ১৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন (১ হাজার ৭৯০ কোটি) ডলারের অতিরিক্ত সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম। এর পর থেকে দেশটিকে প্রায় ১২০ বিলিয়ন বা ১২ হাজার কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গ্রহীতা মিসর। ১৯৭৮ সালে দুই দেশের মধ্যে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি সই হওয়ার পর থেকে মিসরকে প্রায় ১ দশমিক ২ বিলিয়ন বা ১২০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরব দেশগুলোর মধ্যে ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠ মিত্র মিসর প্রথম ইসরায়েল রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে। ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি সইয়ের পর থেকে মিসরকে অর্থনৈতিক সহায়তাও দিয়ে আসছে ওয়াশিংটন।