ঢাকা, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

২৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ১২ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম

Scroll
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে ঢামেকের বহির্বিভাগে চিকিৎসা বন্ধ
Scroll
এমবিবিএস-বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া নামের আগে ডাক্তার পদবি নয়: হাইকোর্ট
Scroll
এপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী মারা গেছেন
Scroll
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী একটি ট্রেনে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের হাতে জিম্মি হওয়া ৮০ জনকে উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা, নিহত হয়েছেন ১৩ জন
Scroll
দুর্বল রাষ্ট্রায়ত্ত আর্থিক ও অ-আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ, একীভূতকরণ কিংবা বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার বিধান রেখে নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়
Scroll
সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন বৈঠকে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি ইউক্রেন
Scroll
গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক লাকি আক্তারকে ফ্যাসিবাদী আখ্যা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মধ্যরাতে শাহবাগে ঢাবি শিক্ষার্থীরা

সেই শাহজাদির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২০:০২, ৩ মার্চ ২০২৫

সেই শাহজাদির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে চার মাস বয়সী এক শিশুকে হত্যার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৩৩ বছর বয়সী ভারতীয় নারী শাহজাদি খানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। আজ সোমবার দিল্লি হাইকোর্টকে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এনডিটিভি জানিয়েছে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইন ও বিধান অনুসারে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলার বাসিন্দা শাহজাদি খানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ভারতের অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল চেতন শর্মা জানিয়েছেন, আবুধাবিতে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাস গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সরকারিভাবে শাহজাদির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সব ধরনের সহায়তা প্রদান করছে এবং শাহজাদির শেষকৃত্য আগামী ৫ মার্চ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শাহজাদি খান আবুধাবির আল ওয়াথবা কারাগারে বন্দী ছিলেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে থাকা এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

শাহজাদির বাবা শাব্বির খানের দায়ের করা একটি আবেদনে বলা হয়েছিল-২০২১ সালের ডিসেম্বরে বৈধ ভিসা নিয়ে তাঁর মেয়ে আবুধাবিতে যান। ২০২২ সালের আগস্টে তাঁর নিয়োগকর্তা পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। শিশুটির দেখাশোনার জন্য শাহজাদিকে নিযুক্ত করা হয়। ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর শিশুটি নিয়মিত টিকা নেওয়ার পরপরই মারা যায়।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে একটি ভিডিও রেকর্ডিং প্রকাশিত হয়। এই ভিডিওতে শাহজাদি খান শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে দাবি করা হয়। তবে তাঁর পরিবারের অভিযোগ, এই স্বীকারোক্তি জোর করে নির্যাতনের মাধ্যমে আদায় করা হয়েছিল। শাহজাদিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ করে তাঁর পরিবার।

এদিকে, মৃত্যুর পর শিশুটির ময়নাতদন্ত করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন তার মা-বাবা। শাহজাদির পরিবার অভিযোগ করেছে, ভারতীয় দূতাবাস শাহজাদিকে আইনি সহায়তা দিলেও তাঁকে জোর করে হত্যার স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা হয়। এ ছাড়া শাহজাদিকে দেওয়া আইনি সহায়তা পর্যাপ্ত ছিল না বলেও অভিযোগ করা হয়।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে শাহজাদির আপিল খারিজ করা হয় এবং ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। এরপর ২০২৪ সালের মে মাসে শাব্বির খান নতুন করে একটি ‘দয়া আবেদন’ জমা দেন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কারাগার থেকে শাহজাদি তাঁকে ফোন করে জানিয়েছিলেন, তাঁর মৃত্যুদণ্ড শিগগিরই কার্যকর করা হতে পারে।

এ অবস্থায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে মেয়ের আইনি অবস্থা ও সুস্থতা সম্পর্কে জানতে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানান শাব্বির খান। তবে তিনি কোনো আপডেট পাননি। ভারতের আদালত ঘটনাটিকে ‘দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করেছে।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন