শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩:২১, ৭ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ০১:১১, ৮ মার্চ ২০২৫
সৌদিকে কেনো এত ভালোবাসেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) জানিয়েছেন, বিদেশ সফরে এই মেয়াদে তিনি প্রথমে সৌদি আরবে যাবেন। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করতে সম্মত হয়েছে রিয়াদ। যার মধ্যে সামরিক সরঞ্জাম কেনাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প জানান, আগামী মাসের মধ্যে তিনি সৌদি আরবে যেতে পারেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, তার প্রথম প্রেসিডেন্ট মেয়াদের প্রথম বিদেশ সফরও ছিল রিয়াদে, যেখানে তিনি সৌদি আরবের সঙ্গে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি করেছিলেন।
এইবার, তারা আরও ধনী হয়েছে, আর আমি একটু বয়স্ক হয়েছি,' মন্তব্য করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, তার অনুরোধ সৌদি আরব রাখে। সৌদি আরব আগামী চার বছরে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে সম্মত হয়েছে, যার মধ্যে মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম কেনাও অন্তর্ভুক্ত। আমার সঙ্গে তাদের দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। এবং তারা সবসময় আমার প্রতি সদয় আচরণ করেছে’।
সৌদি আরব সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে সৌদি আরব এককভাবে মার্কিন-ইউক্রেন বৈঠকের আয়োজন করবে।
ফেব্রুয়ারিতে, ট্রাম্প পিজিএ ট্যুর এবং সৌদি মালিকানাধীন লিভ গলফের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যাতে এই দুই সংস্থারের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের সমাধান করা যায়। ট্রাম্পের প্রথম প্রেসিডেন্ট মেয়াদে তার জামাতা এবং মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক উপদেষ্টা জারেড কুশনার একটি প্রাইভেট ইকুইটি ফার্ম চালু করেন, যা ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর সৌদি আরব থেকে ২ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ পায়।
সম্প্রতি, ট্রাম্প বেশ কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ব্যাপক বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন, যার মধ্যে তাইওয়ানের সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং এবং অ্যাপল রয়েছে।
সৌদি আরব এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দীর্ঘ ইতিহাস সমৃদ্ধ। তবে, ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সৌদি আরবের প্রতি তার বিশেষ আগ্রহ ও সমর্থন আন্তর্জাতিক রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল। ট্রাম্পের এই সম্পর্কের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক ও আর্থিক কারণ, বিশেষ করে সৌদির তেল রিজার্ভ ও অর্থনৈতিক শক্তি, যা ট্রাম্পের সরকারের কূটনৈতিক কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কাজ করেছে।