ঢাকা, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

২৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ১২ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম

Scroll
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে ঢামেকের বহির্বিভাগে চিকিৎসা বন্ধ
Scroll
এমবিবিএস-বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া নামের আগে ডাক্তার পদবি নয়: হাইকোর্ট
Scroll
এপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী মারা গেছেন
Scroll
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী একটি ট্রেনে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের হাতে জিম্মি হওয়া ৮০ জনকে উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা, নিহত হয়েছেন ১৩ জন
Scroll
দুর্বল রাষ্ট্রায়ত্ত আর্থিক ও অ-আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ, একীভূতকরণ কিংবা বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার বিধান রেখে নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়
Scroll
সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন বৈঠকে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি ইউক্রেন
Scroll
গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক লাকি আক্তারকে ফ্যাসিবাদী আখ্যা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মধ্যরাতে শাহবাগে ঢাবি শিক্ষার্থীরা

ট্রাম্পের সৌদি আরবের প্রতি বিশেষ সম্পর্কের পেছনে কারণ কী?

আর্থিক ও রাজনৈতিক স্বার্থ: সৌদির সাথে ট্রাম্পের সম্পর্কের গুরুত্ব

ট্রাম্প সৌদি সম্পর্কের পেছনে কারণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩:২১, ৭ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ০১:১১, ৮ মার্চ ২০২৫

আর্থিক ও রাজনৈতিক স্বার্থ: সৌদির সাথে ট্রাম্পের সম্পর্কের গুরুত্ব

সৌদিকে কেনো এত ভালোবাসেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) জানিয়েছেন, বিদেশ সফরে এই মেয়াদে তিনি প্রথমে সৌদি আরবে যাবেন। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করতে সম্মত হয়েছে রিয়াদ। যার মধ্যে সামরিক সরঞ্জাম কেনাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। 

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প জানান, আগামী মাসের মধ্যে তিনি সৌদি আরবে যেতে পারেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, তার প্রথম প্রেসিডেন্ট মেয়াদের প্রথম বিদেশ সফরও ছিল রিয়াদে, যেখানে তিনি সৌদি আরবের সঙ্গে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি করেছিলেন।

এইবার, তারা আরও ধনী হয়েছে, আর আমি একটু বয়স্ক হয়েছি,' মন্তব্য করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, তার অনুরোধ সৌদি আরব রাখে। সৌদি আরব আগামী চার বছরে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে সম্মত হয়েছে, যার মধ্যে মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম কেনাও অন্তর্ভুক্ত। আমার সঙ্গে তাদের দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। এবং তারা সবসময় আমার প্রতি সদয় আচরণ করেছে’। 

সৌদি আরব সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে সৌদি আরব এককভাবে মার্কিন-ইউক্রেন বৈঠকের আয়োজন করবে।

ফেব্রুয়ারিতে, ট্রাম্প পিজিএ ট্যুর এবং সৌদি মালিকানাধীন লিভ গলফের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যাতে এই দুই সংস্থারের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের সমাধান করা যায়। ট্রাম্পের প্রথম প্রেসিডেন্ট মেয়াদে তার জামাতা এবং মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক উপদেষ্টা জারেড কুশনার একটি প্রাইভেট ইকুইটি ফার্ম চালু করেন, যা ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর সৌদি আরব থেকে ২ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ পায়।

সম্প্রতি, ট্রাম্প বেশ কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ব্যাপক বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন, যার মধ্যে তাইওয়ানের সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং এবং অ্যাপল রয়েছে।

সৌদি আরব এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দীর্ঘ ইতিহাস সমৃদ্ধ। তবে, ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সৌদি আরবের প্রতি তার বিশেষ আগ্রহ ও সমর্থন আন্তর্জাতিক রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল। ট্রাম্পের এই সম্পর্কের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক ও আর্থিক কারণ, বিশেষ করে সৌদির তেল রিজার্ভ ও অর্থনৈতিক শক্তি, যা ট্রাম্পের সরকারের কূটনৈতিক কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কাজ করেছে।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন