শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২০:৫৪, ১২ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ২০:৫৬, ১২ মার্চ ২০২৫
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ন্যাটো জোট ও ইইউ সদস্যরাষ্ট্রগুলো এবং জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ ৩৪টি দেশের সেনাপ্রধানদের এই রুদ্ধদ্বার বৈঠকটি ছিল একটি বিরল ঘটনা-সম্ভবত নজিরবিহীন। যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।
এই আলোচনায় যুদ্ধবিরতির পর ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী বাহিনী এবং কিয়েভের দীর্ঘমেয়াদি সামরিক শক্তি বজায় রাখার বিকল্প ও সক্ষমতা নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে অংশ নেওয়া এক ইউরোপীয় কূটনীতিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এই বৈঠকে আমরা একটি এটি বিষয়ে একমত হয়েছি। তা হলো, আমরা একসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াই নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। তবে বড় সমস্যা হলো, রাশিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’ তিনি আরও জানান, এই বৈঠক আমাদের পূর্বপরিকল্পনার অংশ ছিল।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সামরিক কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্রকে ইচ্ছাকৃতভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এর মাধ্যমে মিত্রদের কাছে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে, ট্রাম্প মিত্রদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখায় ইউরোপ ও অন্যান্য অংশীদার নিজেদের দায়িত্ব নিজেরাই নিতে সক্ষম। কর্মকর্তারা আরও জানান, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোর উপস্থিতি, ওয়াশিংটনের পুরোনো মিত্রদের মধ্যে গভীর উদ্বেগের প্রতিফলন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেনকে শান্তিচুক্তিতে রাজি করানোর জন্য প্রচণ্ড চাপ দিচ্ছেন। এমনকি আলোচনার আগেই তিনি রাশিয়ার অনেক দাবি, যেমন ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্যপদ না দেওয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তবে বৈঠকের আগে ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নু নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
অন্যদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণের কথা বলছেন। কিন্তু কিয়েভ মনে করে, এতে তারা আরও বেশি হামলার ঝুঁকিতে পড়বে।