ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

৩০ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৪ রমজান ১৪৪৬

‘রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হতে পারে এই বছর’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭:৩১, ১৪ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ১৭:৩৩, ১৪ মার্চ ২০২৫

‘রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হতে পারে এই বছর’

চলতি বছরই বাংলাদেশের নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদন শুরু করতে চাচ্ছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু সংস্থা রসাটম। এ ছাড়া রাশিয়ার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ‘লেনিনগ্রাদ ২’ এর চতুর্থ ইউনিটের জন্য প্রথম কংক্রিট ঢালা এবং কুরস্ক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম নতুন ইউনিটকে বাণিজ্যিক কার্যক্রমে আনার কাজগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সংস্থাটি।

সারোভে ‘রসাটম ইনফরমেশন ডে’ উপলক্ষে দেওয়া এক বক্তৃতায় রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু সংস্থা রসাটমের মহাপরিচালক অ্যালেক্সেই লিখাচেভ এসব কথা বলেন। সংস্থাটির নিজস্ব ম্যাগাজিন স্ত্রানা রসাটম–এ তাঁর এই বক্তৃতা প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘পরমাণু জ্বালানি খাতে ২০৪২ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্প্রসারণের জাতীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করাই প্রধান লক্ষ্য। আমাদের ৩৮টি ইউনিট তৈরি করতে হবে, যার মধ্যে কিছু হবে আমাদের জন্য নতুন অঞ্চলে–সাইবেরিয়া ও দূরপ্রাচ্য। সেই সঙ্গে সেভেরস্কে চতুর্থ প্রজন্মের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘চলতি বছর আমাদের দূরপ্রাচ্যের প্রিমোর্স্কি ক্রাই অঞ্চলে দুটি ইউনিটের একটি কেন্দ্র নির্মাণের সমস্ত দিক পরিকল্পনা করতে হবে। এটি প্রেসিডেন্টের সরাসরি নির্দেশ। এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (এনপিপি) ২০৩২ সালের মধ্যে গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত হতে হবে। এ বছর আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে লেনিনগ্রাদ এনপিপি-২–এর চতুর্থ ইউনিটের জন্য প্রথম কংক্রিট ঢালা এবং কুরস্ক এনপিপি-২–এর প্রথম ইউনিটকে বাণিজ্যিক কার্যক্রমে চালু করা।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের দুটি ইউনিটে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ চলছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর ও দ্বিতীয় ইউনিট ২০২৩ সালের অক্টোবরে চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা কারণে প্রকল্পটি নির্দিষ্ট সময়ে চালু করা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাঠামোগত, প্রযুক্তিগত ও যন্ত্রপাতির প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করেছেন।

এর আগে ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার স্টেট করপোরেশন ফর নিউক্লিয়ার এনার্জি রসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচোভ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। শান্তিপূর্ণ পরমাণু প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অভিন্ন স্বার্থ ও অগ্রগতির দিকে মনোনিবেশ করে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তিতে সহযোগিতা সম্প্রসারণের প্রত্যাশায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি সে সময় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ যথাসময়ে শেষ করার ওপর জোর দেন।

আরও পড়ুন