শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১১:৫৮, ৩ এপ্রিল ২০২৫
মিয়ানমারের ভূমিকম্পে নিহত ছাড়িয়েছে ৩ হাজার
এদিকে ভয়াবহ এ দুর্যোগে দুর্গম এলাকায় জরুরি ওষুধ ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ভূমিকম্পে পার্শ্ববর্তী দেশ থাইল্যান্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ২২। আলজাজিরার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে থাইল্যান্ডে শত শত ভবন ক্ষতিগ্রস্ত এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৭২ জন।
শুক্রবার মান্দালয়ের কাছে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী এ ভূমিকম্পে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির অসংখ্য ভবন ধসে পড়েছে; উদ্বাস্তু হয়েছে লাখ লাখ মানুষ । ভূমিকম্পবিধ্বস্ত মিয়ানমারের অনেক এলাকায় আশ্রয়, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো।
এসময় ত্রাণ সংস্থাগুলো দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দিতে দেশটির কছে সরকারি সহযোগিতা চায়। এরপর গতকাল বুধবার মিয়ানমারের জান্তা ২০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম এমআরটিভি।
তবে ভূমিকম্প-পরবর্তী উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় সহায়তা করতে এ যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হয়েছে বলে জানান জান্তা। এসময় বিদ্রোহীরা যদি হামলা চালায় তাহলে পাল্টা ‘যথোপযুক্ত ব্যবস্থা’ নেওয়ারও হুমকি দিয়েছে জান্তা সরকার। ভূমিকম্পের পর থেকে মিয়নমারে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে আন্তর্জাতিক মহলের ব্যাপক চাপ ছিল। মঙ্গলবার বিদ্রোহীদের বড় একটি জোট থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সও এক মাসের একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল।
এদিকে চলমান গৃহযুদ্ধের মধ্যেও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছে উধ্বারকারীরা। সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার বরাত দিয়ে বলা হয়, দেশটিতে চীনা দূতাবাসের ত্রাণ প্রচেষ্টায় সহায়তা করার জন্য স্থানীয় রেড ক্রসকে ১৫ লাখ ইউয়ান (২,০৬,৬৮৫ ডলার) মূল্যের নগদ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে চীনা রেড ক্রসের একটি ত্রাণবহরে মিয়ানমার জান্তার গুলির ঘটনাও ঘটেছে। বিবিসি বলছে, মঙ্গলবার রাতে ভূমিকম্পকবলিত এলাকায় ত্রাণ নিয়ে আসা একটি দলের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গুলি চালায়।
অন্যদিকে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর দাবি, গুলির ঘটনাটি সতর্কতামূলক ছিল। গাড়িবহরটি এ অঞ্চল দিয়ে যাবে, তা তাদের জানানো হয়নি। বহরটি থামানোর জন্য গুলি চালানো হয়, তবে কেউ আহত হয়নি।
উল্লেখ্য, ভূমিকম্পে ছয়টি অঞ্চলের ২ কোটি ৮০ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে খাদ্য, আশ্রয়, পানি, স্যানিটেশন, মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা ও অন্যান্য পরিষেবার জন্য জরুরি তহবিলে ১ কোটি ২০ লাখ ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে।