শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১১:০৯, ৬ এপ্রিল ২০২৫
হামলার শিকার যানবাহনের মধ্যে ছিল একটি অ্যাম্বুলেন্স, জাতিসংঘের একটি গাড়ি এবং একটি অগ্নিনির্বাপক ট্রাক। ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করে, হেডলাইট বা কোনো সতর্কতা আলো ছাড়া এগিয়ে আসা সন্দেহভাজন যানবাহনের কারণে তারা গুলি চালাতে বাধ্য হয়। তারা আরও জানায়, এসব যান চলাচলের আগে সেনাদের সঙ্গে কোনো সমন্বয় হয়নি।
তবে নিহত এক প্যারামেডিকের মোবাইল ফোন থেকে পাওয়া ফুটেজে দেখা যায়, আহতদের সহায়তা দেওয়ার সময় যানবাহনগুলোতে আলো জ্বলছিল। অর্থাৎ ইসরায়েলি বাহিনীর ওই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, নিহতদের মধ্যে অন্তত ছয়জন চিকিৎসকের ‘হামাস সংশ্লিষ্টতা’ ছিল। যদিও এই অভিযোগের পক্ষে তারা কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। বরং বাহিনীটি স্বীকার করেছে, গুলি চালানোর সময় ওই স্বাস্থ্যকর্মীরা সবাই নিরস্ত্র ছিলেন।
এ নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রকাশিত একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, গাড়িগুলো রাস্তায় থেমে থাকা অবস্থায় ভোর হওয়ার ঠিক আগে কোনো সতর্কতা ছাড়াই গুলি চালানো হয়। ভিডিওটি পাঁচ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে চলে। সেখানে আহত প্যারামেডিক রেফাত রাদওয়ানের আর্তনাদের শব্দ শোনা যায়। হামলার আগমুহূর্তে ইসরায়েলি সেনাদের গাড়ির দিকে এগিয়ে আসতেও দেখা যায়।
গাজার হামাস-শাসিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ৬৬৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১৫ হাজার ২২৫ জন। অবরুদ্ধ উপত্যকাটি কার্যত এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।