শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১০:৫১, ৭ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১১:৫৭, ৭ এপ্রিল ২০২৫
রোববার (৬এপ্রিল) ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরগুলোতে রকেট হামলা করেছে হামাস। গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গণহত্যার জবাবে এমন হামলা কররা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হামাস প্রায় ১০টি রকেট ছুড়েছে, যার বেশিরভাগ প্রতিহত করা হয়। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা থেকে রকেট হামলার জবাবে ‘শক্ত প্রতিক্রিয়া’ জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২ দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আশকেলনে হামলার খবর নিশ্চিত করেছে।
চ্যানেল ১২ টেলিভিশন জানিয়েছে, গাজা থেকে ছোড়া রকেট হামলায় অন্তত ১২ জন সামান্য আহত হন, তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলি জরুরি বিভাগ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, তারা একজনকে চিকিৎসা দিচ্ছে এবং তাদের বিভিন্ন দল রকেট হামলার স্থানগুলো পরিদর্শনে বের হয়েছে। তাদের প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, শহরের রাস্তায় ভাঙা গাড়ির জানালা ও ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
রোববার গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৩৯ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
রকেট হামলার পরপরই রকেট নিক্ষেপের কথা উল্লেখ করে মধ্য গাজা উপত্যকার দেইর আল-বালাহ শহরের বেশ কয়েকটি জেলার বাসিন্দাদের এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তারা জানিয়েছে, 'হামলার আগে এটি একটি চূড়ান্ত সতর্কবার্তা।'
এক পর্যায়ে তারা আরও জানায়, তারা একটি রকেট লঞ্চারে আঘাত হেনেছে, যেখান থেকে এর আগেও কয়েকবার রকেট ছোড়া হয়েছিল।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের জন্য ওয়াশিংটন যাওয়ার পথে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে রকেট হামলার বিষয়ে অবহিত করেন তার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।
নেতানিয়াহু জোরালো প্রতিক্রিয়া চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন এবং হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত রাখার অনুমোদন দিয়েছেন বলে তার কার্যালয় থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়।
গাজায় নির্বিচারে ইসরায়েলের হামলা ও হত্যাকাণ্ড বিশ্বব্যাপি তুলে ধরার আহ্বান করেছে ফিলিস্তিনি ন্যাশনাল ও ইসলামিক ফোর্সেস গ্রুপ। সংঘাত বন্ধে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়। পাশাপাশি ফিলিস্তিনের অধিকার হরণ ও গাজায় ইসরায়েলের ধ্বংসযজ্ঞের জন্য জবাবদিহিতার দাবি করা হয়।