ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
৫ বৈশাখ ১৪৩২, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৬
শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬:৪৫, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৮:২৭, ১০ এপ্রিল ২০২৫
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ার বিজয় দিবস উদযাপনে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন। নির্ধারিত সময়ে আমরা অংশগ্রহণ সংক্রান্ত ঘোষণা দেব।’
এদিকে এবারের বিজয় দিবসকে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় উদযাপন’ হিসেবে আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও মিত্র শক্তির হাতে নাৎসি জার্মানির পরাজয়ের ৮০ বছর পূর্ণ হচ্ছে এবার। যার ফলে দিনটি বেশ আড়ম্বরপূর্ণ হবে বলে আশা করছে তারা।
দিবসটি পালিত হবে মে মাসের ৯ তারিখ। এই দিনটি রাশিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ছুটির দিনগুলোর একটি। দিবসটিকে কেন্দ্র করে রেড স্কয়ারে বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজ, সরঞ্জাম প্রদর্শনী এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভাষণ থাকে মূল আকর্ষণ।
রাশিয়ার সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে ভারত। ইউক্রেন যুদ্ধের পর মস্কোর থেকে দূরে সরে যাওয়ার জন্য ভারতকে চাপ দেয় পশ্চিমা দেশগুলো। তবে সেই চাপ উপেক্ষা করে চলেছে দেশটি। মস্কোর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় করে ভারত এবং জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রে সম্প্রতি রাশিয়া ভারতের অন্যতম প্রধান সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে। ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে এক বহুপাক্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়া যান নরেন্দ্র মোদি। এ বছর পরবর্তী সময়ে ভ্লাদিমির পুতিনেরও ভারত সফরের সম্ভাবনাও রয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আমন্ত্রণ ও সম্ভাব্য সফর রাশিয়া-ভারত কৌশলগত সম্পর্কের দৃঢ়তা এবং ইউক্রেন যুদ্ধ-পরবর্তী নতুন ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় ভারতের ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতিরই প্রতিফলন।
