শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭:৩০, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৮:১১, ১১ এপ্রিল ২০২৫
এর আগে, মার্কিন পণ্যের ওপর ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল চীন। নতুন এই সিদ্ধান্তে দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তির মধ্যকার বাণিজ্য উত্তেজনা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে, যার প্রভাবে বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় তৈরি হয়েছে বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা।
চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই উচ্চ শুল্ক আন্তর্জাতিক বাণিজ্যনীতির পরিপন্থী এবং এটি একতরফা চাপ প্রয়োগের শামিল। এ নিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগও দায়ের করেছে চীন।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১০ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র একটি নির্বাহী আদেশ জারি করে চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে। এর প্রতিক্রিয়ায় চীন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ডব্লিউটিওতে অভিযোগ করেছে।
চলতি বছর শুরুর দিকে ট্রাম্প প্রশাসন প্রথমে চীনা পণ্যে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। পরে তা কয়েক দফায় বাড়িয়ে মোট ১০৪ শতাংশে উন্নীত করা হয়। পাল্টা হিসেবে চীনও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে।
সবশেষ বুধবার ট্রাম্প আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক যোগ করে চীনা পণ্যে শুল্কহার ১৪৫ শতাংশে উন্নীত করেন। এর ব্যাখ্যা দিয়ে হোয়াইট হাউস জানায়, প্রাণঘাতী মাদক ফেন্টানিল নিয়ে বিতর্কে চীনের উপর আগে থেকেই আরোপ করে রাখা ২০ শতাংশ শুল্কও বর্ধিত ১২৫ শতাংশ শুল্কর সঙ্গে যোগ করা হয়েছে।