শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯:৩৬, ১২ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৪:৪৮, ১২ এপ্রিল ২০২৫
এর আগে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এসময় এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে তারা। পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় হামাস।
জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইসরায়েলি বাহিনী সেই দিন থেকেই গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। একটানা ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে এই অভিযান চলার পর, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর জোরালো চাপের মুখে ইসরায়েল গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। তবে, এই যুদ্ধবিরতির দু'মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই, গত ১৮ মার্চ থেকে আইডিএফ পুনরায় গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করেছে। দ্বিতীয় দফার এই অভিযানে গত ১৫ দিনে দুই হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
হামাসের যোদ্ধারা যে ২৫১ জন জিম্মিকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে এখনও কমপক্ষে ৩৫ জন জীবিত আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ঘোষণা করেছে যে সামরিক অভিযানের মাধ্যমেই তাদের উদ্ধার করা হবে।
এদিকে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছে। এর পাশাপাশি, জাতিসংঘের আদালত হিসেবে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে)-তে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তবে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, হামাসকে সম্পূর্ণরূপে দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের উদ্ধার করাই এই অভিযানের মূল লক্ষ্য। এই উদ্দেশ্যগুলো অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত গাজায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস থেকে গাজায় এই অভিযান শুরু করে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের হামলাসহ, গত দেড় বছরে এই উপত্যকায় মোট ৫০ হাজার ৯১২ জন নিহত হয়েছেন এবং ১ লাখ ১৫ হাজার ৯৮১ জন আহত হয়েছেন। এই হতাহতদের মধ্যে ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।