শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩:১৬, ১২ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৪:৩৩, ১২ এপ্রিল ২০২৫
বেইজিংয়ের প্রত্যাঘাতের পর বিনিয়োগকারীরা মার্কিন সরকারি বন্ড বিক্রি করতে শুরু করে। এতে ডলারের দাম কমে যায় এবং শেয়ারবাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। এরই মধ্যে ট্রাম্পের এমন পদক্ষেপ বিপর্যস্ত বিশ্ববাজারে উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে কয়েক ডজন দেশের ওপর ব্যাপক আমদানি শুল্ক ঘোষণা করে ট্রাম্প প্রশাসন। ফলে খানিকটা টালমাটাল হয়ে পড়ে শেয়ারবাজার। কিন্তু বুধবার হঠাৎ করেই তা ৯০ দিনের জন্য ১০ শতাংশ কমিয়ে আনেন। তবে চীনের পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করেন। এর জবাবে চীনও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর একই পরিমাণ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়।
চীনের সর্বশেষ শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা করার পর ট্রাম্প তাঁর নিজস্ব সামাজিক প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে শেয়ার করা এক পোস্টে বলেন, ‘আমাদের শুল্ক নীতি সত্যিই ভালো করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমেরিকা এবং বিশ্বের জন্য খুবই উত্তেজনাপূর্ণ এটি! এটি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।’
অন্যদিকে, ট্রাম্পের পোস্ট শেয়ারের পর হোয়াইট হাউস জানায় যে ট্রাম্প চীনের সঙ্গে একটি চুক্তির বিষয়ে ‘আশাবাদী’ এবং ৯০ দিনের শুল্ক বিরতির সময় ১৫টি দেশ ‘আলোচনার’ প্রস্তাব দিয়েছে। তবে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট খুব স্পষ্ট করে বলেছেন, যখন যুক্তরাষ্ট্রকে আঘাত করা হবে তখন তিনি আরও কঠোরভাবে পাল্টা আঘাত করবেন।’
গত সপ্তাহ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও বেইজিং ক্রমবর্ধমান কঠোর শুল্ক আরোপের মাধ্যমে একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্লা দিচ্ছে। চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং শুক্রবার এই উত্তেজনা নিয়ে প্রথমবারের মতো মন্তব্য করেন। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম তাঁকে উদ্ধৃত করে বলেছে, চীন ‘ভয় পায় না।’ স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের সঙ্গে আলোচনার সময় সি আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং চীনের উচিত ‘একতরফা দমনমূলক কার্যক্রম সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ করা।’
সি চিনপিংয়ের মন্তব্যের পরপরই বেইজিং ঘোষণা করে যে মার্কিন পণ্যের ওপর আরোপিত নতুন ১২৫ শতাংশ শুল্ক আজ শনিবার থেকে কার্যকর হবে, যা চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত ১৪৫ শতাংশের কাছাকাছি। চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, এই পাল্টাপাল্টি প্রক্রিয়ার জন্য সম্পূর্ণভাবে যুক্তরাষ্ট্র দায়ী। তিনি ট্রাম্পের শুল্ককে ‘সংখ্যার খেলা’ ও ‘কৌতুক’ বলে উল্লেখ করেছেন।
তবে চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন স্তরে প্রায় কোনো আমদানি সম্ভাবনা না থাকায় শুল্ক আর বাড়ানো হবে না। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা সত্ত্বেও তিনি সি চিনপিংয়ের সঙ্গে চুক্তি করতে আগ্রহী। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তিনি দীর্ঘকাল ধরে আমার বন্ধু। আমি মনে করি, আমরা শেষ পর্যন্ত এমন কিছু বের করব যা উভয় দেশের জন্যই খুব ভালো হবে।’
তবে মার্কিন কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, তাঁরা আশা করছেন সি চিনপিং-ই প্রথম যোগাযোগ করবেন।