শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১১:৫৮, ১৩ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১২:৩২, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
ইসরায়েল কার্তজ আরও জানান, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গাজা উপত্যকার দক্ষিণে একটি ‘নিরাপত্তা অঞ্চলের’ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, যা রাফা ও খান ইউনিস শহরকে আলাদা করেছে।
ইতোমধ্যে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী খান ইউনিস ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকা থেকে আকাশপথে হামলার কঠোর জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। যদিও হামাস কোনো হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
টানা দুই মাসের যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর গত ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামাসের ওপর আবারও হামলা জোরদার করেছে। এরপর থেকে তারা গাজায় আরও বড় এলাকা দখল করেছে এবং হাজারো গাজাবাসীকে নতুন করে বাস্তুচ্যুত করেছে।
গতকাল শনিবার ইসরায়েল কার্তজ বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী রাফা ও খান ইউনিসের মধ্যবর্তী সাবেক ইহুদি বসতি ‘মোরাগ এক্সিস’ এলাকার নিয়ন্ত্রণ সম্পন্ন করেছে।
এর ফলে গাজার খান ইউনিস কার্যত দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। গাজা উপত্যকার প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ভূমিজুড়ে রয়েছে রাফা।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সতর্ক করে দেন যে শিগগিরই গাজার আরও বেশিরভাগ এলাকাজুড়ে বিস্তৃত হামলা জোরদার করবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এসব এলাকার যুদ্ধক্ষেত্রগুলো থেকে মানুষদের সরিয়ে নিতে হবে। হামাসকে নির্মূল করা, জিম্মিদের মুক্ত করে আনা এবং যুদ্ধের অবসানের এটাই শেষ মুহূর্ত।
ইসরায়েলের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায়, যাতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় আনা হয়।
এর জবাবে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ওই দিনই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে, যা এখনো চলছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই নির্বিচার হামলায় উপত্যকাটিতে এ পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়ার পর নিহত হয়েছে ১ হাজার ৫৬৩ জন।