শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯:১৩, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এবার ৫২ হাজারের বেশি ভারতীয় বেসরকারি ট্যুর অপারেটরের মাধ্যমে হজ পালনের জন্য বুকিং করেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ভারতের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, আগে থেকে বুক করা বেসরকারি কোটার মাত্র ২০ শতাংশ প্রথমে নিশ্চিত করা হবে। এর মানে হলো, কম্বাইন্ড হজ গ্রুপ অর্গানাইজার্সের (সিএইচজিও) অধীনে নিবন্ধিত ৮০ শতাংশ মানুষ সম্ভবত ২০২৫ সালের হজ পালন করতে পারবেন না।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় নুসুক পোর্টালে অ্যাকসেস বন্ধ করে দেওয়ার পরই এই সিদ্ধান্ত এসেছে। নুসুক হলো একটি বাধ্যতামূলক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যা হজযাত্রীদের জন্য চুক্তি ও পরিষেবা চূড়ান্ত করতে ব্যবহৃত হয়। সৌদি কর্তৃপক্ষ মিনা জোন—১ ও ২ বাতিল করেছে। এই জোনগুলো সিএইচজিওদের বরাদ্দ করা হয়েছিল। এর কারণ হলো, অর্থ পরিশোধে বিলম্ব এবং পরিষেবা চুক্তি চূড়ান্ত না করা। বাকি জোনগুলোও (৩,৪ ও ৫) আটকে রাখা হয়েছে। যার ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
জানা যায়, সরকার সব অপারেটরের কাছ থেকে অর্থ পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করেছে এবং অর্থ পরিশোধে দেরি করেছে। এর ফলে সৌদি কর্তৃপক্ষের পেমেন্ট চ্যানেল বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারের অবহেলার কারণে যারা পেমেন্ট সম্পন্ন করেছিলেন তারাও এখন সমস্যায় পড়েছেন।
এদিকে সৌদি আরব নুসুক পোর্টাল পুনরায় খুলতে রাজি হয়েছে। সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিষয়টি সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে গেছে। এর ফলে, সৌদি পক্ষ সাময়িকভাবে নুসুক পোর্টাল পুনরায় খুলতে রাজি হয়েছে। তবে এটি কেবল একটি সংক্ষিপ্ত এবং অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলা হবে। এই স্বল্প সময়ের মধ্যে সিএইচজিওরা তাদের তীর্থযাত্রীদের জন্য পরিষেবা চুক্তি আপলোড করতে এবং আবাসন, পরিবহন ও লজিস্টিক ব্যবস্থা চূড়ান্ত করতে পারবে।
তবে বিজ্ঞপ্তিতে সতর্ক করা হয়েছে যে, মিনায় জোন ও ক্যাম্প সীমিত থাকায় বরাদ্দ রিয়েল-টাইম এবং আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে করা হবে। কতগুলো তাঁবু বা জোন পাওয়া যাবে, অথবা সেগুলো কোন নির্দিষ্ট এলাকায় অবস্থিত হবে, তাও এখনো স্পষ্ট নয়।