ঢাকা, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

৬ বৈশাখ ১৪৩২, ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

মুর্শিদাবাদের সহিংসতায় বাংলাদেশের ইন্ধন, যা বললেন মমতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬:৫৩, ১৬ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৮:৩৩, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

মুর্শিদাবাদের সহিংসতায় বাংলাদেশের ইন্ধন, যা বললেন মমতা

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত

ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ ঘিরে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে সহিংসতায় উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, ‘গতকাল আমি এএনআই-এর একটি টুইট দেখেছি যেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, এই হিংসার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা রয়েছে। যদি তা সত্যও হয়, তবে এর দায় রাজ্য নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের-কারণ সীমান্তের দায়িত্ব বিএসএফের, রাজ্যের নয়। তাহলে বিজেপির লোকজন বাইরে থেকে এসে গোলমাল করে পালিয়ে যেতে পারছে কেন?’

উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতা ঘিরে ১১ এপ্রিল শুরু হওয়া বিক্ষোভ দ্রুতই রূপ নেয় সহিংসতায়। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের একজন কিশোর। পরদিন ১২ এপ্রিল সামশেরগঞ্জের জাফরাবাদে বাবা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। স্থানীয়দের দাবি, বারবার ফোন করা হলেও ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায়নি। পরে পুলিশ গেলে তাদের বাধার মুখে পড়তে হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে ওই এলাকায় টহল দিচ্ছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।   

সহিংসতার রেশ ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকাতেও। ধুলিয়ান পুরসভা, একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও শপিং মলে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজনীতিকদের লক্ষ্য করে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। ভাঙচুর চালানো হয়েছে ফারাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলামের ভাইয়ের বাড়িতে, হেনস্তার শিকার হয়েছেন বিধায়ক নিজেও। হামলা হয়েছে জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমানের কার্যালয়েও।

সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এলাকার একাধিক স্পটে মোতায়েন করা হয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। চলমান টহল ও নজরদারিতে যুক্ত রয়েছে প্রশাসনের অন্যান্য সংস্থাও। ঘটনার জেরে সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ান ও ফারাক্কাসহ আশপাশের অঞ্চলে এখনও বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা। সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে রয়েছে আতঙ্ক। 

ঢাকা এক্সপ্রেস/এসএআর 

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন